প্রকাশ: ১ জুলাই ২০২৫, ১২:২৩
জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে অনুষ্ঠিত মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, জনগণ যখন জেগে ওঠে তখন তাকে আর কোনো শক্তি রুখে দিতে পারে না। মঙ্গলবার (১ জুলাই) তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের স্মরণে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের এই দিনে আমাদের শিক্ষার্থীরা যে লক্ষ্য নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল, তারা তা অর্জন করেছে। এর ফলে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে যা ফ্যাসিবাদের পতনের প্রতীক।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল স্বৈরাচার বিনষ্ট করে গণতান্ত্রিক ও নতুন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা। তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে যেন কেউ স্বৈরাচারবাদে ফিরে যেতে না পারে, সে জন্য কাজ করে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। জনগণের শক্তি এবং জাগরণই স্বৈরাচারকে পতিত করতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, সামনের পথ কঠিন হলেও সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিহাস প্রমাণ করে, জনগণ যখন সচেতন ও সক্রিয় হয়, তখন কোনো শক্তি তাদের থামাতে পারে না। তাই জনগণের জাগরণ ও ঐক্য অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন আমাদের নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
জুলাই বিপ্লবের স্মরণে আয়োজন করা মাসব্যাপী কর্মসূচিতে নানা অনুষ্ঠান থাকছে। এসবের মধ্যে রয়েছে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি নানা পর্যায়ের গণজাগরণ কর্মসূচি। এসব কর্মসূচি আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
ড. ইউনূসের বক্তব্য ছিলো দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এক অনন্য অভিব্যক্তি। তিনি জনগণের মধ্যে ঐক্য ও স্বাবলম্বিতার বার্তা দিয়ে বলেন, এই আন্দোলন চলমান থাকবে যতক্ষণ না সম্পূর্ণ মুক্তি অর্জন হয়।
স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে এই কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। July revolution বা জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেয় যে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের ঐক্য ও সংগ্রাম অপরিহার্য।
বর্তমান সরকারের পলিসি ও কাজের ধারাকে সমর্থন করে ড. ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনে দেশে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং জনগণ তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় আরও বেশি সচেতন হবে।