লকডাউনেও চলছে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গো-হাট। এতে মানছেন না কেউ স্বাস্থ্যবিধি। লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রশাসন প্রচার-প্রচারণা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রাখলেও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নেই হাট-বাজারগুলোতে স্বাস্থ্য সচেতনতার বালাই নেই কারো মধ্যে।
প্রশাসনের অভিযানের কথা শুনলেই মাস্ক পরাসহ অন্য বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠে বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। প্রশাসনের লোকজন ফিরে গেলে আবার অসেচতন হয়ে পড়ছেন তারা। দোকান-পাট, এনজিওসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সঠিক ভাবে মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি। এমনকি সরকারি নির্দেশ অমান্য করে খোলা হচ্ছে দোকান-পাটও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার (৩ জুলাই) বিকালে পৌর শহরের ধর্মকুড়া বাজর ও শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নাপিতেরচর গাইবান্ধা গো-হাটে স্বাস্থ্যবিধি ভাঙ্গার মহোৎসব। এ বাজারে হুমড়ি খেতে দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। কেউ পরছে না মাস্ক। মানছে না স্বাস্থ্যবিধি।
এছাড়া উপজেলার পোড়ারচর, কান্দারচর, পচাবহলা, সিরাজাদাবাদ, ডিগ্রিরচর, টানাব্রিজ, ঝগড়ারচর, মলমগঞ্জ, কুলকান্দী, কড়ইতলা, হাড়গিলা, কাজলা একতা, কাঠমা জনতা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই মানছে না করোনা রোধে স্বাস্থ্যবিধি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নাগরিকদের সচেতন করতে দিনরাত প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. মাজহারুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোকনুজ্জামান খান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এ এ এম আবু তাহের, পুলিশের ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন মিয়া প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. মাজহারুল ইসলাম জানান, 'স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার করাসহ দৈনন্দিন জীবনে সব ধরনের কাজকর্ম করতে জনগণকে সচেতন করে যাচ্ছি। লকডাউন বাস্তবায়নে নিয়মিত করে যাচ্ছি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানও।'
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।