পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে বাবার সামনে ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসী এবং নিহতের পরিবারের সদস্যরা বিচার দাবি করেছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সাপলেজা বাবুরহাট সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ নেন প্রায় তিন শতাধিক নারী-পুরুষ।
মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সমাজ সেবক মোস্তফা মোল্লা। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে হত্যার এজাহারভুক্ত সকল আসামিদের গ্রেপ্তার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান। নিহতের বাবা সোহরাফ মৃধা, মা ফিরোজা বেগম এবং স্ত্রী আনিসা বেগমসহ বিভিন্ন বক্তা এ সময় কথা বলেন।
নিহতের স্ত্রী আনিসা বেগম বলেন, “গত ৫ অক্টোবর সুন্দরবনের শরণখোলা কস্তুরা খালে আমার স্বামী জয়নাল মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের ২০ জনের একটি দল চারটি ট্রলার নিয়ে এসে তাদের ঘেরাও করে। তারা আমার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নদীতে ফেলে দেয়।” তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় জয়নালের বাবা সোহরাব মৃধা ছেলেকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেননি।
একদিন পর, ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় নদী থেকে জয়নালের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর ৯ অক্টোবর নিহত জয়নালের বাবা শরণখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বক্তারা উল্লেখ করেন, এই ধরনের হত্যাকাণ্ডে বিচার না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। সোহরাফ মৃধা বলেন, “আমার ছেলে হত্যার বিচার না হলে আমরা কখনোই শান্তি পাব না।”
নিহতের পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয় জনগণ মানববন্ধনের মাধ্যমে সরকারের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। তারা আশাবাদী, প্রশাসন তাদের দাবি শুনবে এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া উপজেলার শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি, যত দ্রুত সম্ভব হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হোক এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হোক।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।