প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৪৫
সপ্তাহিক বিশেষ ইবাদত ও আমলের দিন ইয়াওমুল জুমআ। দিনটি ইবাদতের বিশেষ দিন। দরূদের বিশেষ আমলের দিন। বিশেষ নামাজের আমলের দিন। দোয়া কবুলের বিশেষ দিন। এমনকি কুরআন তেলাওয়াতের বিশেষ আমলের দিনও এটি।এ দিনের কুরআন তেলাওয়াতের বিশেষ আমল সম্পর্কে রয়েছে হাদিসের একাধিক বর্ণনা ও ফজিলত। এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দিন কুরআন তেলাওয়াত করার কথা বলেছেন। হাদিসে এসেছে-হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুআর দিন সুরা কাহফ তেলাওয়াত করবে, কেয়মাতের দিন তার পায়ের নিচ থেকে আসমানের মেঘমালা পর্য ন্পাত নূরে পরিণত হবে। ্আর দুই জুমআর মধ্যবর্তী গোনাহ ক্ষমা করা হবে।’ (আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব)
হজরত বারা ইবনে আজেব বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি সুরা কাহফ তেলাওয়াত করছিল। সে সময় একখণ্ড মেঘমালা তাকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে। ওই ব্যক্তি বিষয়টি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে বর্ণনা করেন। বিশ্বনবি তাকে বললেন, ওহে... তুমি সুরাটি পড়তে থাক। কারণ এটি ছিল আল্লাহর রহমত বা প্রশান্তি। যা কুরআন তেলাওয়াতের কারণে বা কুরআন তেলাওয়াতের জন্য নাজিল হয়েছিল।’ (মুসলিম) আর এটিই মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সাকিনা বা প্রশান্তি।
সুরা কাহফের অন্যতম একটি ফজিলত হলো, দাজ্জালের ফেতনা থেকে মুক্তি। হাদিসের বর্ণনায় বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহফ পাঠ করবে, কেয়ামতের দিন তার জন্য এমন একটি নূর হবে, যা তার অবস্থানের জায়গা থেকে মক্কা পর্যন্ত আলোকিত করে দেবে। আর যে ব্যক্তি এ সুরার শেষ দশ আয়াত পাঠ করবে, তার জীবদ্দশায় দাজ্জাল বের হলেও তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’ (সিলসিলা সহিহা)