প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৮
খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে ‘জুম্ম ছাত্র জনতা’ নামে একটি গ্রুপ ফেসবুকে অনির্দিষ্টকালের জন্য যাত্রা ও সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছিল। সোমবার সকালে সামাজিক মাধ্যমে জানানো হয়েছে, ঢাকা-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ শিথিল থাকবে।
অন্যদিকে, অন্যান্য সড়কে অবরোধ পূর্বাবস্থায় বলবৎ রয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা বহাল থাকায় জনজীবন পুরোপুরি স্থবির হয়ে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে, যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করছে।
সেনা ও বিজিবির তৎপরতায় দূরপাল্লার পরিবহনগুলো নির্দিষ্ট সময় অন্তর চলাচল করছে। নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমোদন ছাড়া কোনো যানবাহন ছাড়তে দেওয়া হচ্ছে না। গত দুই দিনে সাজেকে আটকে থাকা প্রায় ৫০০ পর্যটক সোমবার সকালে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনার পর পুলিশ শয়ন শীল (১৯) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেয়। অপর আসামিদের ধরার দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের কারণে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরাপত্তা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানাচ্ছেন।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, ধর্ষণ মামলার আসামিকে দ্রুত আটক করা হয়েছে এবং অন্যদের ধরতেও চেষ্টা চলছে। হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের প্রতিটি ঘটনার মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি সকলের কাছে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, পরিস্থিতি উন্নত না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে। এর আগে রোববার ১৪৪ ধারা ভেঙে খাগড়াছড়ি শহরে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়।
গুইমারায় সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত এবং এক মেজরসহ ১৩ সেনা সদস্য আহত হন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।