
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৮

কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার ভারতে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশীয় রপ্তানিকারকদের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ইলিশ রপ্তানির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
রপ্তানি শুরুর প্রথম ১২ দিনে, ১৬ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৯৯ টন ইলিশ এবং আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আরও ৩৭ টন ইলিশ পাঠানো হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, অনুমোদিত পরিমাণের তুলনায় কার্যকর রপ্তানি এখনও কম।
মন্ত্রণালয় আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। হাতে মাত্র এক সপ্তাহ থাকায় অনুমোদিত সম্পূর্ণ পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার ইলিশের দাম বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানির পরিমাণ কম। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ৫২৫ টাকা।
রপ্তানিকারকরা মনে করছেন, এত অল্প সময়ে সম্পূর্ণ চালান পাঠানো কঠিন। গত বছর ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলেও, বেনাপোল ও আখাউড়া বন্দর দিয়ে মাত্র ৬৩৬ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অনেক কম হলেও বিশেষ বিবেচনায় সরকার ২০১৯ সাল থেকে দুর্গাপূজার সময় ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিচ্ছে। এই নীতি দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইলিশ রপ্তানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আরও দক্ষ পরিকল্পনা এবং দ্রুত লজিস্টিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। এতে সময়সীমার মধ্যে অনুমোদিত পরিমাণ পূরণ করা সম্ভব হবে এবং ব্যবসায়িক ক্ষতি কমানো যাবে।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা ভারতের বাজারে তাদের অবস্থান দৃঢ় করতে পারছেন। সরকারের নিয়মিত তদারকি এবং বন্দর প্রশাসনের সমন্বয় কার্যক্রম রপ্তানির গতিকে ত্বরান্বিত করছে।