বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫১৭ আশ্বিন, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ধর্ম

হজ্জের গুরুত্ব ও ফজিলত

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২০, ১৫:৩০

শেয়ার করুনঃ
হজ্জের গুরুত্ব ও ফজিলত
ধর্ম
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

হজ্জ ইসলামের পঞ্চম রোকন বা স্তম্ভ। মুমিন বান্দার প্রতি মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিনের বিশেষ অনুগ্রহ এই যে, তিনি তাকে এমন কিছু ইবাদত দান করেছেন, যা দ্বারা বান্দা তার রূহানি তারাক্কি, কলবের সুকুন ও প্রশান্তি এবং দুনিয়া-আখিরাতের খায়ের ও বরকত লাভ করে থাকে। এসবের একটি হলো হজ্জ। হজ্জ ইসলামের পঞ্চম রোকন বা স্তম্ভ। নামায, রোযা, যাকাত যেমন ফরয ইবাদত, তেমনি আর্থিক ও শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলমান নর-নারীর জন্য হজ্জ অন্যতম বরকতপূর্ণ অবধারিত কর্তব্য।

হজ্জ আরবি শব্দ । অর্থ: নিয়ত করা, দর্শন করা, সংকল্প করা, সন্ধান করা, সাক্ষাৎ করা, ইচ্ছা করা বা প্রতিজ্ঞা করাসহ কোনো মহৎ কাজের ইচ্ছা করা। শরিয়তের পরিভাষায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিনের ফরয আমলটি পালনার্থে এবং আল্লাহ তা’আলার সান্নিধ্য ও সন্তোষ লাভের আশায় হজ্জের নির্ধারিত সময়-সীমার ভেতরে নির্দিষ্ট আমল সম্পাদনের জন্য পবিত্র ‘বাইতুল্লাহ’ তথা কা’বা ঘর জেয়ারত করাকে হজ্জ বলে। >

আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেন, ‘মক্কা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম প্রত্যেক ব্যক্তির উপর আল্লাহর জন্য হজ্জ আদায় করা ফরয’ (সূরা আল ইমরান, আয়াত: ৯৭)। ‘তোমরা আল্লাহর জন্য হজ্জ ও উমরাহ পালন কর’ (সূরা-আল বাকারা, আয়াত: ১৯৬)। মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,

আরও

বজ্রপাত ও অতিবৃষ্টি হলে ইসলামের নির্দেশনা

বজ্রপাত ও অতিবৃষ্টি হলে ইসলামের নির্দেশনা

‘যখন আমি ইবরাহিম (আলাইহিস সালাম)কে বায়তুল্লাহর স্থান ঠিক করে দিয়ে বলেছিলাম যে, আমার সাথে কাউকে শরিক করো না এবং আমার গৃহকে পবিত্র রাখ তাওয়াফকারীদের জন্য। আর মানুষের মাঝে তুমি হজ্জের ঘোষণা প্রচার করো, তাঁরা তোমার কাছে আসবে পাঁয়ে হেঁটে, উটে চড়ে এবং সর্ব-প্রকার বাহনে সওয়ার হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে’ (সূরা হজ্জ, আয়াত: ২৬-২৭)।

নবম হিজরীতে হজ্জ ফরয হয়। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ১০ম হিজরীতে একবার স্বপরিবারে হজ্জ পালন করেন। মক্কা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম এমন প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও মহিলার জন্য জীবনে একবার হজ্জ আদায় করা ফরয। এ সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে মানব সকল! আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর হজ্জ ফরয করেছেন।

সুতরাং তোমরা হজ্জ করো। এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! প্রতি বছর কি হজ্জ করতে হবে? তিনি চুপ রইলেন এবং লোকটি এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তাহলে প্রতি বছর হজ্জ করা ফরয হয়ে যেতো, কিন্তু তোমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হতো না’ (মুসলিম, হাদিস : ১৩৩৭)। বারবার হজ্জ আদায় করা মুস্তাহাব। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেছেন, ‘হজ্জ একবার, যে ব্যক্তি একাধিকবার করবে তা তার জন্য নফল হবে’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৮৬, আবু দাউদ হাদিস : ১৭২১)।

হাদিস শরীফে হজ্জ ফরয হওয়া মাত্র আদায় করার তাগিদ ও হুকুম দেওয়া হয়েছে। হযরত ইবনে আববাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘ফরয হজ্জ আদায়ে তোমরা বিলম্ব করো না। কারণ তোমাদের কারো জানা নেই তোমাদের পরবর্তী জীবনে কী ঘটবে’ (সুনানে কুবরা বায়হাকী ৪/৩৪০, মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২৮৬৭)। অন্য বর্ণনায় ইরশাদ হয়েছে,

আরও

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের তিন প্যাকেজ ঘোষণা, কমল বিমান ভাড়া

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের তিন প্যাকেজ ঘোষণা, কমল বিমান ভাড়া

হযরত ইবনে আববাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হজ্জ করার ইচ্ছে করে, সে যেন তাড়াতাড়ি তা আদায় করে নেয়। কারণ যে কোনো সময় সে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে বা বাহনের ব্যবস্থাও না থাকতে পারে অথবা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৮৮৩; আবু দাউদ, হাদিস : ১৭৩২)।

একটি হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তা’আলা যে স্বচ্ছল সামর্থ্যবান ব্যক্তি সত্ত¡র হজ্জ আদায় করে না তাকে হতভাগা ও বঞ্চিত আখ্যায়িত করেছেন। আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমি আমার বান্দার শরীরকে সুস্থ রাখলাম, তার রিযিক ও আয়-উপার্জনে প্রশস্ততা দান করলাম। পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যদি সে আমার গৃহের হজ্জের উদ্দেশ্যে আগমন না করে তবে সে হতভাগ্য ও বঞ্চিত’ (তবারানী,

হাদিস : ৪৯০; সুনানে কুবরা বায়হাকী ৫/২৬২; ইবনে হিববান, হাদিস : ৩৬৯৫; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদিস : ১০৩১; মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদিস : ৫২৫৯)। শুধু তাই নয়, একসময় বায়তুল্লাহ শরীফ উঠিয়ে নেয়া হলে মানুষ হজ্জ করতে পারবে না এই আশঙ্কার কারণেও আল্লাহর রাসূল উম্মতকে তাড়াতাড়ি হজ্জ করার হুকুম করেছেন।

ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা হজ্জ ও উমরার মাধ্যমে বায়তুল্লাহ এর উপকার গ্রহণ কর। কেননা তা ইতিপূর্বে দু’বার ধ্বংস হয়েছে। তৃতীয় বারের পর উঠিয়ে নেওয়া হবে’ (ইবনে হিববান, হাদিস : ৬৭১৮; ইবনে খুযাইমা, হাদিস : ২৫০৬; মুসনাদে বাযযার, হাদিস : ১০৭২; মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস : ১৬৫২)।

কেউ হজ্জের আবশ্যকীয়তা বা ফরয হওয়া অস্বীকার করলে তাকে অমুসলিম বলে গণ্য করা হবে। আর যদি কোনো সক্ষম ব্যক্তি হজ্জ ফরয মানা সত্তে¡ও তা আদায় না করেন তাহলে কঠিন পাপের মধ্যে নিপতিত হবেন এবং তার ঈমান নষ্ট হওয়ার ভয় রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে অবহেলা করে ফরয হজ্জ ত্যাগ করে, আমি জানি না তার মৃত্যু ঈমানের উপর হবে কি না।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

হজ্জ করার শক্তি-সামর্থ্য ও অর্থ-বিত্ত থাকার পরও যে ব্যক্তি হজ্জ করে না তার সম্পর্কে হাদিস শরীফে কঠোর সতর্কবাণী প্রদান করা হয়েছে। যে ব্যক্তি হজ্জ করার সামর্থ্য রাখে, তবুও হজ্জ করে না সে ইহুদী হয়ে মৃত্যুবরণ করল কি খিস্টান হয়ে তার কোনো পরোয়া আল্লাহর নেই’ (তিরমিযী, হাদিস ৮১২, তাফসীরে ইবনে কাসীর ১/৫৭৮)।

হজ্জের ফজিলত

হজ্জ একটি আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। এ কারণেই আল্লাহ তা’আলা একে অতি ফজিলতপূর্ণ করেছেন। হজ্জের ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হাদিস শরীফে মকবুল হজ্জের বহু ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। মুমিন ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলা ও তার রাসূলের প্রতি গভীর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখায় বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ ও রওজা মোবারক যিয়ারতের মাধ্যমে। নিম্নে কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হলো, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন,

আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য নিবেদিতভাবে, সর্বপ্রকার পাপ, অন্যায় ও অশ্লীলতা মুক্ত হয়ে হজ্জ আদায় করলো, সে মাতৃগর্ভ থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ঘরে ফিরলো’ (বুখারী, হাদিস: ১৫২১; মুসলিম, হাদিস : ১৩৫০)। তিনি আরও বলেছেন; একবার উমরা আদায়ের পরে দ্বিতীয়বার যখন উমরা আদায় করা হয়,

তখন দুই উমরার মধ্যবর্তী গোনাহ আল্লাহ্ মাফ করে দেন। আর হজ্জে মাবরুর বা পুণ্যময় হজ্জের একমাত্র পুরস্কার হলো জান্নাত’ (বুখারী, হাদিস : ১৭৭৩; মুসলিম, হাদিস : ১৩৪৯; তিরমিযী, হাদিস : ৯৩৩; নাসায়ী, হাদিস : ২৬২৯; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৮৮)। কবুল হজ্জ দ্বারা উদ্দেশ্য এমন হজ্জ, যা সুন্নাত মুতাবেক সম্পন্ন হয়, যাতে পাপাচার ও গোনাহ থেকে মুক্ত থাকা হয় (রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১২৮১-এর ব্যাখ্যা)। হজ্জ শুধু শারীরিক ইবাদতে সীমাবদ্ধ নয়,

বরং হজ্জ পালন বান্দার পাপও মোচন করে দেয়। ফলে হজ্জ পালনকারীর পাপের বোঝা হালকা হয় এবং দারিদ্র্য দূর হয়। তবে হজ্জ পালন একমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে হতে হবে। এতে কোনো প্রকার লৌকিকতা থাকতে পারবে না। এ মর্মে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা বারবার হজ্জ ও উমরা আদায় কর, কারণ কর্মকারের ও স্বর্ণকারের আগুন যেমন লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা মুছে ফেলে তেমনিভাবে এ দুটি ইবাদত দারিদ্র্য ও পাপ মুছে ফেলে। আর হজ্জে মাবরুর বা পুণ্যময় হজ্জের একমাত্র পুরস্কার হলো জান্নাত’ (তিরমিযী, হাদিস : ৮১০; নাসায়ী, হাদিস : ২৬৩১)।

হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সর্বশ্রেষ্ঠ কর্ম কি? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনা। প্রশ্নকারী বলেন, এরপর কোন কর্ম? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা । প্রশ্নকারী বলেন, এরপর কোন কর্ম? তিনি বললেন, তোমাদের জন্য উত্তম ও সুন্দরতম জিহাদ হলো হজ্জ, তথা মাবরুর হজ্জ (কবুল হজ্জ)’ (বুখারী, হাদিস : ২৬; মুসলিম, হাদিস : ৮৩; তিরমিযী, হাদিস : ১৬৫৮)।

হযরত আয়শা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম! জিহাদকে আমরা সর্বোত্তম আমল মনে করি। কাজেই আমরা কি জিহাদ করবো না? তিনি বললেন, তোমাদের জন্য উত্তম ও সুন্দরতম জিহাদ হলো ‘হজ্জ’, তথা মাবরুর হজ্জ’ (বুখারী, হাদিস: ১৫২০)।

হযরত ইবনে উমর (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহ তা’আলা হজ্জকারীকে তার উটনীর প্রতি কদমে একটি নেকি লেখেন কিংবা একটি গুনাহ মুছে দেন। অথবা একটি মর্তবা বুলন্দ করেন’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ১৮৮৭; শুআবুল ঈমান, বায়হাকি,

হাদিস : ৪১১৬)। হযরত সাহল ইবনে সা’দ আসসায়েদী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোনো ব্যক্তি যখন তালবিয়া পাঠ করে তখন তার ডানে ও বামে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যা কিছু আছে যেমন, গাছপালা, মাটি, পাথর সব কিছু তালবিয়া (লাব্বাইক) পাঠ করতে থাকে, (তিরমিযী, হাদিস : ৮২৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৯২১)। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে হজ্ব করার তৌফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।

সর্বশেষ সংবাদ

টেকনাফে মানবপাচার রুখতে কোস্ট গার্ডের অভিযান, ২১ জন উদ্ধার

টেকনাফে মানবপাচার রুখতে কোস্ট গার্ডের অভিযান, ২১ জন উদ্ধার

খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় তিন মামলা, দেড় হাজারের বেশি আসামি

খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় তিন মামলা, দেড় হাজারের বেশি আসামি

আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ: ধর্ম উপদেষ্টা

আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ: ধর্ম উপদেষ্টা

নোয়াখালীতে গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণ, দগ্ধ একই পরিবারের ৪ জন

নোয়াখালীতে গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণ, দগ্ধ একই পরিবারের ৪ জন

ঢাকাসহ ১০ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পূর্বাভাস

ঢাকাসহ ১০ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পূর্বাভাস

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজনৈতিক চাপে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন: সারজিস

রাজনৈতিক চাপে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন: সারজিস

বিএনপি নেতা আউয়াল খাঁনসহ ৮ নেতার কারামুক্তি

বিএনপি নেতা আউয়াল খাঁনসহ ৮ নেতার কারামুক্তি

জাতিসংঘে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করলেন-প্রধান উপদেষ্টা

জাতিসংঘে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করলেন-প্রধান উপদেষ্টা

হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের জরুরি সমাবেশ

হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের জরুরি সমাবেশ

নির্বাচন না হলে দেশে ফের ফ্যাসিবাদ কায়েম হবে-গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

নির্বাচন না হলে দেশে ফের ফ্যাসিবাদ কায়েম হবে-গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

ধৈর্যের শিক্ষা কোরআন ও হাদিসের আলোকে

ধৈর্যের শিক্ষা কোরআন ও হাদিসের আলোকে

ইসলাম মানবজীবনে ধৈর্যকে এমন এক মহান গুণ হিসেবে উপস্থাপন করেছে যা দুনিয়া ও আখেরাত উভয় ক্ষেত্রেই কল্যাণ বয়ে আনে। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বহুবার ধৈর্যের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। মানুষের জীবনে বিপদ, পরীক্ষা ও সংকট আসবে, আর এসব মোকাবিলার সর্বোত্তম উপায় হলো ধৈর্য ধারণ করা। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর জীবনেও ধৈর্যের অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। তায়েফে অপমানিত

দুর্নীতি ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

দুর্নীতি ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

বর্তমান সমাজে দুর্নীতি, ঘুষ, প্রতারণা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এগুলো মারাত্মক গুনাহ এবং সমাজের স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি। ইসলাম সব ধরনের দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে এবং সৎপথে চলার শিক্ষা দিয়েছে। কুরআনে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে যারা অন্যায়ের মাধ্যমে মানুষের অধিকার হরণ করে তাদের জন্য পরিণতি ভয়াবহ। কুরআনের সূরা আল-বাকারা’র ১৮৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের তিন প্যাকেজ ঘোষণা, কমল বিমান ভাড়া

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের তিন প্যাকেজ ঘোষণা, কমল বিমান ভাড়া

২০২৬ সালের হজে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণকারী হজযাত্রীদের জন্য তিনটি ভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বিশেষ প্যাকেজ-১, তুলনামূলক সাশ্রয়ী প্যাকেজ-২ এবং নতুন সংযোজন সাশ্রয়ী প্যাকেজ-৩ অন্তর্ভুক্ত। খরচের পরিমাণ সর্বনিম্ন ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ

হাদিসের আলোকে দয়া ও মানবিকতা

হাদিসের আলোকে দয়া ও মানবিকতা

মানব জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান গুণগুলোর মধ্যে দয়া ও মানবিকতা অন্যতম। ইসলামে দয়া কেবল মানুষের প্রতি নয়, সমস্ত সৃষ্টির প্রতিই প্রদর্শন করার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনে আমরা দেখতে পাই তিনি দয়া, সহানুভূতি ও মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। হাদিসে এসেছে, আল্লাহ দয়ালু, আর তিনি দয়া প্রদর্শনকারীদের প্রতি দয়া করেন। সহিহ বুখারির এক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, যারা পৃথিবীর প্রতি দয়া করবে,

ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব !

ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব !

ইসলামে জ্ঞান অর্জনকে অত্যন্ত মর্যাদার আসনে রাখা হয়েছে। কুরআনের প্রথম আয়াত নাজিল হয়েছিল “ইকরা” শব্দ দিয়ে যার অর্থ পড়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “বলুন, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞান বৃদ্ধি করুন” (সূরা ত্বাহা: ১১৪)। এই আয়াত মুসলমানদের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা যে জ্ঞান অর্জন একটি ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ” (ইবনে মাজাহ)। এই হাদিস