প্রকাশ: ৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৫৮
মানুষের মধ্যে গরিব ও অসহায়রাই বেশি জান্নাতি। আবার অন্যদের জান্নাতে যাওয়ার অন্যতম উপায় এ গরিবরাই। জাহান্নামিদের অধিকাংশই ধন-সম্পদশালী, ক্ষমতাশালী ও নারীদের মধ্যে থেকে হবে। তবে ধন-সম্পদের মালিক হওয়া, ক্ষমতাশালী হওয়া কিংবা নারীর নারিত্বকে জাহান্নামি হওয়ার জন্য দায়ী করা হয়নি। ধনী কিংবা ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তি গরিব মানুষকে তার ন্যায্য প্রাপ্য জাকাত ও দান-সাদকা দেয়ার মাধ্যমে নিজেদের পরকালকে নিরাপদ ও শংকামুক্ত করবে।
দুনিয়ায় নিজেরা পাবে উত্তম রিজিক আর তাদের দেয়া অর্থে গরিবদেরও রিজিকের ব্যবস্থা হবে। পরকালের নাজাতের চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধে আগ্রহী হয়েই মানুষ গরিব-অসহায়দের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। তাই তো কুরআনুল কারিমে গরিব ও অসহায় মানুষকে দানের ব্যাপারে দেয়া হয়েছে অনেক দিকনির্দেশনা। তাহলো-
> কাউকে ঋণ মুক্তি কিংবা দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি দিতে আল্লাহ তাআলা বলেন-
> পরকালের মুক্তিতে গরিবদের দান করা আবশ্যক করে দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন-
> গরিব অসহায়দের দানের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন-
> মানুষের সর্বোত্তম দান হলো গবিরকে সহযোগিতা করা। আল্লাহ বলেন-
> হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোসণা করেন-
> অন্য হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন-
কুরআন ও হাদিসের আলোচনায় যেমনি ভাবে সম্পদশালীকে গরিবের প্রতি ইহসান করার কথা বলা হয়েছে। পরিণামে তারা পাবে মহা পুরস্কার। তেমনি অসহায় ও নিঃস্বদের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে তাদের মর্যাদা ও সম্মানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। যে সম্মান ও মর্যাদার কারণেই আল্লাহ তাআলা তাদের মাধ্যমে সম্পদশালীকে দান করবেন জান্নাত ও পরকালীন মুক্তি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব সম্পদশালীকে গরিবের প্রতি সদয়বান হওয়ার তাওফিক দান করুন। ধনী-গরিব সবাইকে কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করে দুনিয়ায় উত্তম রিজিক ও পরকালের মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর