পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানালেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৯শে ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:০১ অপরাহ্ন
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানালেন

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাকিস্তান সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে উভয় দেশের শীর্ষ দুই নেতা এই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। 


এ বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে একমত হন। এছাড়া চিনি শিল্প ও ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার যে পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে, তা নিয়েও কথা বলেন ড. ইউনূস। তিনি জানিয়েছেন যে, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।


ড. ইউনূস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে বাংলাদেশের সঙ্গে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সমাধান করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "এই ইস্যুগুলো বারবার উঠে আসছে, আসুন আমরা এগুলো সমাধান করি, যাতে আমাদের সম্পর্ক আরও এগিয়ে যেতে পারে।" শাহবাজ শরিফ উত্তরে জানান, ১৯৭৪ সালে ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে এসব ইস্যু সমাধান হয়ে গেছে। তিনি সেগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।


বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালিত চিনিকলগুলো আরও ভালোভাবে পরিচালনার জন্য পাকিস্তানের প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে। 


ড. ইউনূস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে তার প্রস্তাবের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। 


এ বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এবং ড. ইউনূসের বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, লুৎফে সিদ্দিকী পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া সফরের পথে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যা পরে গ্রহণ করা হয়। 


বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান শীতল সম্পর্কের মধ্যে এই বৈঠক একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে এবং দুদেশের সম্পর্কের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।