
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:১৯

আরবি (হিজরি) সালের প্রথম মাস মুহররম। এ মাসের ১০ তারিখের গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনা করেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। এ মাসের করণীয় কী হবে? কী করতে হবে? তাও সুস্পষ্ট ভাষায় বর্ণনা করেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইনতিকালের প্রায় ৫০ বছর পর ৬১ হিজরীর ১০ মুহররম কারবালার প্রান্তরে ঘটেছে এক হৃদয় বিদারক ঘটনা। যে ঘটনায় সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর হৃদয় থেকে আজও রক্ত ঝরছে। সেদিন ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে হজরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু শাহাদাত বরণ করেন।
সুতরাং এমন বিশ্বাস থেকে মুক্ত থাকতে হবে যে-
আশুরার দিনের স্মরণে ইসলাম বিধান পালন ও বাস্তবায়নই ঈমানের একনিষ্ঠ একান্ত দাবি। পাশাপাশি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষিত ইবাদত- রোজা, তাওবা-ইসতেগফার ও দোয়ার মাধ্যমে এ দিনের ফজিলত লাভ করা। যে ফজিলত ও মর্যাদার কথা তিনি হাদিসে বর্ণনা করেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যদি রমজানের পর আরও কোনো মাসে রোজা রাখতে চাও তবে মুহররমে রোজা রাখ। কেননা সেটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যেদিন আল্লাহ তাআলা অনেকের তাওবা কবুল করেন। ভবিষ্যতেও আরও অনেক মানুষের তাওবা কবুল করবেন।’ (তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)। হাদিসে ঘোষিত এ বিশেষ দিনটিকে ইসলামি চিন্তাবিদগণ ১০ মুহররমের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। সে আলোকে আশুরার দিন রোজা পালন যেমন অনেক বড় ফজিলতপূর্ণ তেমনি মুহররম আল্লাহর মাস হিসেবে অনেব বড় মর্যাদার মাস। আর মর্যাদার মাসে আল্লাহর কাছে তাওবা-ইসতেগফার করা অনেক উত্তম ইবাদত। তাইতো হাদিসে রোজা পালন করার পাশাপাশি তাওবা-ইসতেগফারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মুমিন মুসলমানের উচিত আশুরার দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার রোজা পালন করা। মুহররম মাসব্যাপী তাওবা-ইসতেগফার ও দোয়া পড়া। যে দোয়া ও ইসতেগফার বেশি পড়া জরুরি তা তুলে ধরা হলো-
বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফার করবে-
رَبَّنَا ظَلَمْنَاۤ اَنْفُسَنَا، وَ اِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَ تَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ

ইনিউজ৭১/জিয়া