যে কারণে মুসলিমদের ওপর জিন আক্রমণ করে
শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন। শয়তান ছাড়াও বদ-জিন মানুষের ওপর আক্রমণ করে থাকে। বদ-জিন ও শয়তানের আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকতে দুটি বিষয় মেনে চলা জরুরি।
উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের শায়খুল হাদিস মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরী জিনের আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকতে ২টি নসিহত পেশ করেছেন। আর তাহলো-
> উচ্চ আওয়াজে কুরআন তেলাওয়াত করা।
যে ঘর কিংবা বাড়িতে উচ্চ আওয়াজে কুরআন তেলাওয়াত করা হয়, জিন কখনও সে ঘরে আক্রমণ করতে পারে না।
> নাপাকি থেকে দূরে থাকা।
ঘরে নাপাক বস্তু কিংবা নাপাক শরীরে না থাকা। বিশেষ করে বাচ্চাদের নাপাক কাপড়-চোপড় ঘরে না রাখা। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেছেন, ‘বাথরুম জিন-শয়তানদের আস্তানা। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন বাথরুমে যাবে, সে যেন বলে-
أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ
উচ্চারণ : ‘আউজুবিল্লাহি মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ।’
অর্থ : ‘আমি আল্লাহর কাছে দুশ্চরিত্র ও দুশ্চরিত্রা জিন (শয়তান) থেকে আশ্রয় চাই।’ (আবু দাউদ)
সুতরাং জিন ও শয়তানের আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকতে উচ্চ স্বরে বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা। নাপাকি থেকে দূরে থাকা। বাথরুমসহ নাপাক স্থান অতিক্রম করার সময় উল্লেখিত দোয়ার আমল করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত আমলগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।