মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ৯ই জুন ২০২৪ ০৯:২৫ অপরাহ্ন
মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন যারা

ভারতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও আরও ৭২ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৩০ জন মন্ত্রী, ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী ও স্বতন্ত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত পাঁচজন। মন্ত্রণালয় পরে ঘোষণা করা হবে।


রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে শুরু হয় নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান। তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের নেতা নরেন্দ্র মোদি। এরপর একে একে শপথ নেন মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও। শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।


হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন মতে, মোদির পরেই শপথ নেন বিদায়ী মন্ত্রিসভার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। রাজনাথের পর বিদায়ী মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের পর শপথ নেন বিদায়ী মন্ত্রিসভায় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। গডকড়ীর পর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হলেন তিনি।

 

এরপর শপথ নেন মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং ওই রাজ্যেরই বিদিশা কেন্দ্রের নির্বাচিত সাংসদ শিবরাজ সিং চৌহান। শিবরাজের পর শপথ নেন বিদায়ী মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী ও রাজ্যসভার সাংসদ নির্মলা সীতারামন। নির্মলার পর বিদায়ী মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ এস জয়শঙ্কর।

 

জয়শঙ্করের পর মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন হরিয়ানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং এবার হরিয়ানার কার্নাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয় পাওয়া প্রবীণ বিজেপি নেতা মনোহরলাল খট্টর। এরপর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার পুত্র এবং জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী। এবার কর্নাটকের মাণ্ড্য কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি।

 

কুমারস্বামীর পর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ এবং বিদায়ী মন্ত্রিসভায় ক্রেতাসুরক্ষা, খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এরপর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ এবং বিদায়ী মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

 

মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন গয়ার সাংসদ এবং এনডিএর শরিক দল হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার (হাম) নেতা জিতনরাম মাঝিঁ। এরপর শপথ নেন এনডিএর শরিক দল জেডিইউ-র রাজীবরঞ্জন সিং। নীতীশের দলের এই নেতা বিহারের মুঙ্গের আসন থেকে জয়ী হয়েছেন।

 

এছাড়া মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ বীরেন্দ্র কুমার, এনডিএর শরিক দল টিডিপির নেতা কে রামমোহন নায়ডু, কর্ণাটকের ধারওয়াড় কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ প্রহ্লাদ জোশী ও ওড়িশার সুন্দরগড়ের বিজেপি সাংসদ জুয়েল ওরাওঁ।

 

আরও শপথ নিয়েছেন বিদায়ী মন্ত্রিসভার গ্রামোন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী এবং বিহারের বেগুসরাই কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিং, বিদায়ী মন্ত্রিসভার রেলমন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অশ্বিনী বৈষ্ণব, মধ্যপ্রদেশের গুনা আসনে বিজেপি সাংসদ এবং বিদায়ী মন্ত্রিসভায় বেসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডে।  

 

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন মতে, এবার ২৭ জন পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় থেকে, ১০ জন তফসিলি নিম্নবর্গের হিন্দু সম্প্রদায় থেকে, পাঁচজন তফসিলি আদিবাসী সম্প্রদায়ের, পাঁচজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে মন্ত্রিসভা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

 

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে এবার নরেন্দ্র মোদি হয়ে পড়েন পরনির্ভর। ফলে কিংমেকার হয়ে ওঠেন জোট সঙ্গী চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশ পার্টি (টিডিপি) এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। দল দুটি যথাক্রমে ১৬টি ও ১২টি আসন জিতেছে।

 

সুযোগ বুঝে নাইডু ও নীতীশ বিজেপির নেতাদের সাথে ব্যাপক দরকষাকষিতে নামেন। শেষ পর্যন্ত টিডিপি চারজন ও জেডিইউ থেকে দুইজন করে মন্ত্রী পাচ্ছেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।