ইসলাম ও মুসলমানদের প্রধান ইবাদত নামাজ। নামাজে ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি নসিহত করেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ মুসলমানের ওপর ফরজ করেছেন। এ ছাড়াও রয়েছে অনেক সুন্নাত ও নফল নামাজ। যা আদায়ে রয়েছে অনেক ফজিলত ও মর্যাদা।
সুন্নাতে রাতেবা হিসেবে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক নামাজ আদায় করেছেন। সুন্নাতে রাতেবা হলো-
‘প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সেসব কাজ, যা তিনি সব সময় করতেন ‘
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুন্নাতে রাতেবা হিসেবে ফরজ নামাজের পাশাপাশি বেশ কিছু নামাজ নিয়মিত আদায় করতেন। আর তাহলো-
- ফজরের ফরজ নামাজের আগে ২ রাকাআত সুন্নাত নামাজ।
- জোহরের ফরজের নামাজের আগে ২ রাকাআত সুন্নাত এবং
- জোহরের ফরজের পরে ২ রাকাআত সুন্নাত নামাজ।
- মাগরিবের ফরজের পরে ২ রাকাআত সুন্নাত নামাজ।
- ইশার ফরজের পরে ২ রাকাআত সুন্নাত নামাজ। এবং
- বিতর নামাজও বিশ্বনবি সুন্নাতে রাতেবা হিসেবে আদায় করতেন।
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের ২ রাকাআত সুন্নাত নামাজ ব্যতিত অন্য কোনো নফল নামাজের প্রতি অধিক যত্নবান হতেন না।’ (বুখারি ও মুসলিম)
হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে জোহরের (ফরজের) আগে ২ রাকাআত, জোহরের পরে ২ রাকাআত, জুমআর পর ২ রাকাআত, মাগরিবের পর ২ রাকাআত এবং ইশার পর ২ রাকাআত নামাজ পড়েছি।’ (বুখারি ও মুসলিম)
তিনি এ সংক্রান্ত আরও একটি হাদিস বর্ণনা করে বলেন, ‘বেতের নামাজকে রাতের সবশেষ নামাজ হিসেবে গণ্য করা হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
মুমিন মুসলমানের উচিত নিয়মিত সুন্নাতে রাতেবা আদায় করা। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো পদ্ধতিতে উল্লেখিত সুন্নাত নামাজগুলো যথাযথ আদায় করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত এ নামাজগুলো আদায় করার মাধ্যমে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়অ সাল্লামের সুন্নাতে রাতেবাকে জাগ্রত রাখার তাওফিক দান করুন। পরকালের কল্যাণ লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।