সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫২৪ ভাদ্র, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ধর্ম

জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:৬

শেয়ার করুনঃ
জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি

https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

জুমার নামাজ বা ‘শুক্রবারের নামাজ’ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নামাজ। جُمُعَة (জুমু`আহ) শব্দটি আরবি । এর অর্থ একত্রিত হওয়া, সম্মিলিত হওয়া, কাতারবদ্ধ হওয়া ।যেহেতু, সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুমিন-মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ে একই স্থানে একত্রিত হয়ে জামাতের সঙ্গে সে দিনের যোহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ ফরজরূপে আদায় করে, সে জন্য এই নামাজকে ‘জুমার নামাজ’বলা হয়।   

সপ্তাহের সেরা দিন শুক্রবার তথা জুমার দিন। এটি পৃথিবীর অন্যতম তাৎপর্যবহ দিবস। জুমা নামে পবিত্র কুরআনে একটি স্বতন্ত্র সূরা নাজিল হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর ও আল্লাহকে অধিকরূপে স্মরণ কর; যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা জুমুআ, আয়াত : ১০)

আরও

শিক্ষাক্ষেত্রে নৈতিকতা ও ইসলামী দিকনির্দেশনা

শিক্ষাক্ষেত্রে নৈতিকতা ও ইসলামী দিকনির্দেশনা

আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,  রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যার ওপর সূর্য উদিত হয়েছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হল জুমার দিন। এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাঁকে জান্নাতে স্থান দেয়া হয়েছে এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম : ১৪১০)

জুমার দিনের গুরুত্ব: 

আরও

রাসূলের প্রতি ভালোবাসাই ঈমানের ভিত্তি

রাসূলের প্রতি ভালোবাসাই ঈমানের ভিত্তি

জুমার দিনের গুরুত্ব অনেক বেশি। আল্লাহ তায়ালা জগৎ সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন এই দিনে। এই দিনেই হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে একত্র করেছিলেন এবং এই দিনে মুসলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষে মসজিদে একত্র হয় বলে দিনটাকে ইয়াওমুল জুমাআ বা জুমার দিন বলা হয়।

জুমার নামাজ ফরজ হয় প্রথম হিজরিতে। রাসূলুল্লাহ (সা.) হিজরতকালে কুবাতে অবস্থান শেষে শুক্রবার দিনে মদিনা পৌঁছেন এবং বনি সালেম গোত্রের উপত্যকায় পৌঁছে জোহরের ওয়াক্ত হলে সেখানেই তিনি জুমার নামাজ আদায় করেন। এটাই ইতিহাসের প্রথম জুমার নামাজ।

জুমার দিনের ফজিলত: 

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের মত গোসল করে প্রথম দিকে মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কুরবানি করল, দ্বিতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন একটি গরু কুরবানি করল, তৃতীয় সময়ে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ছাগল কুরবানি করল। অতঃপর চতুর্থ সময়ে যে ব্যক্তি মসজিদে গেল সে যেন একটি মুরগি কুরবানি করল। আর পঞ্চম সময়ে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ডিম কুরবানি করল। অতঃপর ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুৎবার জন্য, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যায়।’ (বুখারি: ৮৮১, ইফা ৮৩৭, আধুনিক ৮৩০)।

দশ দিনের গুনাহ মাফ হয়: জুমার দিনের আদব যারা রক্ষা করে তাদের দশ দিনের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ভালভাবে পবিত্র হল অতঃপর মসজিদে এলো, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শুনতে চুপচাপ বসে রইল, তার জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী এ সাত দিনের সাথে আরো তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। পক্ষান্তরে খুতবার সময় যে ব্যক্তি পাথর, নুড়িকণা বা অন্য কিছু নাড়াচাড়া করল সে যেন অনর্থক কাজ করল।’ (মুসলিম: ৮৫৭)।

জুমার আদব রক্ষাকারীর দশ দিনের গুনাহ মুছে যায়:

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার সালাতে তিন ধরনের লোক হাজির হয়। (ক) এক ধরনের লোক আছে যারা মসজিদে প্রবেশের পর তামাশা করে, তারা বিনিময়ে তামাশা ছাড়া কিছুই পাবে না। (খ) দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক আছে যারা জুমা’য় হাজির হয় সেখানে দু’আ মুনাজাত করে, ফলে আল্লাহ যাকে চান তাকে কিছু দেন আর যাকে ইচ্ছা দেন না। (গ) তৃতীয় প্রকার লোক হল যারা জুমা’য় হাজির হয়, চুপচাপ থাকে, মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনে, কারও ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না, কাউকে কষ্ট দেয় না, তার দুই জুমা’র মধ্যবর্তী ৭ দিনসহ আরো তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ খাতা আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।’ (আবু দাউদ: ১১১৩)।

প্রতি পদক্ষেপে এক বছরের নফল রোজা ও এক বছরের সারারাত তাহাজ্জুদ পড়ার সওয়াব অর্জিত হয়: যে ব্যক্তি আদব রক্ষা করে জুমার সালাত আদায় করে তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে তার জন্য পুরো এক বছরের রোজা পালন এবং রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়ার সওয়াব লিখা হয়।

আউস বিন আউস আস সাকাফী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিন যে ব্যক্তি গোসল করায় (অর্থাৎ সহবাস করে, ফলে স্ত্রী ফরজ গোসল করে এবং) নিজেও ফরজ গোসল করে, পূর্বাহ্ণে মসজিদে আগমন করে এবং নিজেও প্রথম ভাগে মসজিদে গমন করে, পায়ে হেঁটে মসজিদে যায় (অর্থাৎ কোন কিছুতে আরোহণ করে নয়), ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কোন কিছু নিয়ে খেল তামাশা করে না; সে ব্যক্তির প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য রয়েছে বছরব্যাপী রোজা পালন ও সারা বছর রাত জেগে ইবাদত করার সমতুল্য সওয়াব।’ (মুসনাদে আহমাদঃ ৬৯৫৪, ১৬২১৮)।

দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারা: জুমার সালাত আদায়কারীদের জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী গুনাহের কাফফারা স্বরূপ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচ বেলা সালাত আদায়, এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা, এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজানের মধ্যবর্তী সময়ে হয়ে যাওয়া সব (সগিরা) গুনাহের কাফফারা স্বরূপ, এই শর্তে যে, বান্দা কবিরা গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে।’ (মুসলিম; ২৩৩)।

জুমার দিনে দোয়া কবুল: জুমার ফজিলতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকটি হলো, এই দিনে এমন একটা সময় আছে, যখন মুমিন বান্দা কোনো দোয়া করলে মহান আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেন।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিনে একটা এমন সময় আছে, যে সময়ে কোনো মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে ভালো কোনো কিছু প্রার্থনা করলে, অবশ্যই আল্লাহ তাঁকে তা দান করবেন। (সহীহ মুসলিম : ৮৫২, মুসনাদে আহমাদ : ৭১৫১, আস্-সুনানুল কুবরা : ১০২৩৪)।

হজরত আনাস (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিনের কাঙ্ক্ষিত সময়টা হলো আসরের পর থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত। (মুসনাদে ইবনে আবি শাইবা : ৫৪৬০ , তিরমিজি : ৪৮৯)।

জুমার দিনে হাদিসে বর্ণিত গুরুত্বপূর্ণ আমল: 

গোসল করা। ফজরের ফরজ নামাজে সূরা সাজদা ও সূরা দাহর/ইনসান তিলাওয়াত করা। উত্তম পোশাক পরিধান করা। সুগন্ধি ব্যবহার করা। আগেভাগে মসজিদে যাওয়া। সূরা কাহফ তেলাওয়াত করা। মসজিদে গিয়ে কমপক্ষে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করা। ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসা। মনযোগ দিয়ে খুৎবা শোনা। খুৎবা চলাকালে কোনো কথা না বলা। দুই খুৎবার মাঝের সময়ে বেশি বেশি দোয়া করা। অন্য সময়ে দোয়া করা। কারণ এদিন দোয়া কবুল হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর ওপর সারাদিন যথাসম্ভব বেশি দরূদ পাঠ করা।

নিয়ম:

জুমার নামাজে দুই রাকাত ফরজ রয়েছে। এছাড়া ফরজ নামাজের পূর্বে চার রাকাত কাবলাল জুমা এবং পরে চার রাকাত বা'দাল জুমা (সুন্নাত নামাজ) আদায় করতে হয়। যোহরের মত ব্যক্তি চাইলে এসময় অতিরিক্ত নফল নামাজ আদায় করতে পারে। তবে এসব নফল নামাজ জুমার অংশ হিসেবে পড়া হয় না এবং তা আবশ্যকীয়ও নয় বরং ব্যক্তি তা স্বেচ্ছায় করতে পারে এবং না করলে তার দোষ হয় না।

জুমার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা আবশ্যিক এবং তা একাকী আদায় করার নিয়ম নেই। কুরআনে জুমার নামাজের সময় হলে কাজ বন্ধ করে নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে। তবে কোনো ব্যক্তি যদি কারণবশত (যেমন খুব অসুস্থ ব্যক্তি) জুমা আদায় করতে না পারে তবে তার ক্ষেত্রে যুহরের নামাজ আদায় করা নিয়ম। তাছাড়া কিছু ক্ষেত্রে সুস্থ ব্যক্তির উপর, যেমন মুসাফির অবস্থায় জুমার আবশ্যকতা থাকে না এবং সেক্ষেত্রে যুহরের নামাজ আদায় করলে তা গ্রহণীয় হয়। তবে মুসাফির চাইলে জুমা আদায় করতে পারে।

খুতবা: 

জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ ও ইমামের খুতবাকে জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।  

জুমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল খুতবা। এতে ইমাম সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও কুরআন-হাদিসের আলোকে দিকনির্দেশনা দেন। যে ইমাম খুতবা দেন তাকে বলা হয় খতিব। এসময় দুইটি খুতবা দেয়া হয়। দুই খুতবার মাঝখানে অল্প কিছু সময়ের বিরতি নেয়া হয়। মসজিদের প্রতিদিনের ইমাম খুতবা দিতে পারেন বা জুমার দিন বিশেষ কেউ খুতবা দিতে পারেন। খুতবা সাধারণত আরবি ভাষায় দেয়া হয়। তবে কিছু স্থানে স্থানীয় ভাষায় খুতবা দেয়ার প্রথা দেখা যায়।

আর শুক্রবারের দিন জোহরের নামাজের পরিবর্তে জুমার নামাজকে ফরজ করা হয়েছে। যা আমাদের জন্য আল্লাহ এক অন্যতম রহমত। কোরআন-হাদিসে এ ব্যাপারে প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই আমাদের মুসলমান হিসাবে জুমার নামায পড়া জরুরি। যারা জুমার নামাজ হতে বিমুখ থেকে অন্য কাজ-কর্মে নিজেকে ব্যস্ত রাখে। আল্লাহ তাআলা তার দিক থেকে বিমুখ থাকেন।

জুম্মার নামাজ না পড়লে যে শাস্তি:

রাসুলুল্লাহ (সা.)  ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা বিনা ওজরে ও ইচ্ছা করে ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (তিরমিযী,আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)।

অপর এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমা ত্যাগকারী লোকেরা হয় নিজেদের এই খারাপ কাজ হতে বিরত থাকুক। (অর্থাৎ জুমার নামাজ আদায় করুক), নতুবা আল্লাহ তাআলা তাদের এই গোনাহের শাস্তিতে তাদের অন্তরের ওপর মোহর করে দেবেন। পরে তারা আত্মভোলা হয়ে যাবে। অতঃপর সংশোধন লাভের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যাবে। (মুসলিম)।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পর পর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)।

তবে আবার রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, চার শ্রেণির লোক ব্যতীত জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। চার শ্রেণির লোক হল- ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)।মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সবাইকে নিয়মিত জুমার নামাজ আদায় করে ভয়াবহ শাস্তি থেকে হেফাজত করুন। আমীন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের আসনের চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের আসনের চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ

শ্রীমঙ্গলে কৃষকলীগ নেতার ভাইয়ের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা

শ্রীমঙ্গলে কৃষকলীগ নেতার ভাইয়ের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা

"ইনিউজ৭১"-এ সংবাদ প্রকাশ- পদ্মায় অভিযানে পুলিশ, বিপুল জাল জব্দ

"ইনিউজ৭১"-এ সংবাদ প্রকাশ- পদ্মায় অভিযানে পুলিশ, বিপুল জাল জব্দ

নির্বাচন সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ালো জাতিসংঘ

নির্বাচন সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ালো জাতিসংঘ

কোম্পানীগঞ্জে চেক প্রতারণায় মামলায় সাবেক ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

কোম্পানীগঞ্জে চেক প্রতারণায় মামলায় সাবেক ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

সর্বশেষ সংবাদ

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সীমান্তে অবৈধ পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সীমান্তে অবৈধ পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি

পিরোজপুরে ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ৬ জনকে যাবৎজীবন

পিরোজপুরে ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ৬ জনকে যাবৎজীবন

প্রতিবন্ধীদের চলাফেরায় স্বাধীনতা আনছে নতুন হুইলচেয়ার

প্রতিবন্ধীদের চলাফেরায় স্বাধীনতা আনছে নতুন হুইলচেয়ার

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে প্রতি বছর নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে প্রতি বছর নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষা

লিটন দাসের নেতৃত্বে এশিয়া কাপ ঘরে আনতে বাংলাদেশ দল প্রস্তুত

লিটন দাসের নেতৃত্বে এশিয়া কাপ ঘরে আনতে বাংলাদেশ দল প্রস্তুত

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আল্লাহর সন্তুষ্টিই মুমিনের জীবনের আসল সাফল্য

আল্লাহর সন্তুষ্টিই মুমিনের জীবনের আসল সাফল্য

মুমিন জীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। দুনিয়ার চাকচিক্য, ধন-সম্পদ কিংবা পদমর্যাদা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টি চিরন্তন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, “আল্লাহর সন্তুষ্টিই সবচেয়ে বড় সাফল্য” (সূরা আত-তাওবা: ৭২)। এই আয়াত আমাদের শেখায় যে, প্রকৃত সফলতা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা, দুনিয়ার অর্জন নয়। মানুষ প্রায়ই ভুলে যায় যে তার জীবন সীমিত সময়ের। সীমিত সময়ে সীমাহীন কামনা পূরণের

আজ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

আজ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

আজ আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্যময় দিন উদযাপন করা হচ্ছে। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করা তিনি ৬৩ বছর বয়সে একইদিনে ইন্তেকাল করেছেন। মহানবীর জন্মের আগে গোটা আরব জাহেলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। মানুষ আল্লাহর প্রতি অবহেলা করে নানা অনৈতিক ও হানাহানি কাজে লিপ্ত ছিল। অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার এই যুগে মহান আল্লাহ

শিক্ষাক্ষেত্রে নৈতিকতা ও ইসলামী দিকনির্দেশনা

শিক্ষাক্ষেত্রে নৈতিকতা ও ইসলামী দিকনির্দেশনা

শিক্ষা মানুষের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তবে শিক্ষা তখনই পূর্ণতা লাভ করে যখন এর সাথে নৈতিকতার সমন্বয় ঘটে। আজকের বিশ্বে আমরা দেখি অনেকেই উচ্চশিক্ষা অর্জন করছে, কিন্তু নৈতিকতার অভাবে সেই জ্ঞান সমাজের জন্য কল্যাণের বদলে অকল্যাণ বয়ে আনছে। ইসলাম শিক্ষা ও নৈতিকতাকে একসাথে গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে শিক্ষিত মানুষ সমাজে সত্যিকার অর্থে আদর্শ স্থাপন করতে পারে। কোরআনে আল্লাহ বলেন, “পড়

জুমার দিনে দোয়া ও ইবাদতের গুরুত্ব

জুমার দিনে দোয়া ও ইবাদতের গুরুত্ব

জুমার দিন ইসলামে একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ দিন। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় এ দিনকে আল্লাহ তায়ালা অধিক সম্মানিত করেছেন। পবিত্র কোরআনে এ দিনের গুরুত্বের কথা উল্লেখ আছে এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) এর অসংখ্য হাদিসে এ দিনের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিন মুসলমানদের জন্য ঈদের সমতুল্য। এ দিনে যারা গোসল করে, পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করে, সুগন্ধি ব্যবহার করে এবং জামাতে নামাজ আদায়

অর্থনৈতিক সঙ্কট ও ইসলামী সমাধান

অর্থনৈতিক সঙ্কট ও ইসলামী সমাধান

বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক সঙ্কট এক গভীর বাস্তবতা। মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, আয়ের বৈষম্য ও দুর্নীতি সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। মুসলিম সমাজও এই সংকট থেকে মুক্ত নয়। তবে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে অর্থনৈতিক সঙ্কট শুধু হিসাবের ঘাটতি নয়, বরং নৈতিকতার অভাবও এর বড় কারণ। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, "যখনই কোনো শহরকে আমরা ধ্বংস করতে চাই, তখন সেখানে বিলাসিতায় লিপ্তদেরকে আদেশ করি, তারা সেখানে সীমালঙ্ঘন করে,