সারাদিন শয়তান থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:১০ পূর্বাহ্ন
সারাদিন শয়তান থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া

শয়তানের কাজই হলো শয়তানি করা। মানুষকে গোমরাহিতে লিপ্ত করা। ইসলামে মানুষকে শয়তানের প্ররোচনা থেকে হেফাজতে থাকতে বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে ‘শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন’। কোরআন ও হাদিসের আলোকে শয়তানের আক্রমণ থেকে বাঁচার দিক নির্দেশনাও রয়েছে ইসলামে।


শয়তান থেকে নিরাপদে থাকার জন্য প্রত্যেহ ফজরের পর নিম্নের দোয়াটি পাঠ করলে শয়তান তার ওপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। দোয়াটি হলো-


‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহয়ি ওয়া ইয়ামুতু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’


অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি এক। তার কোনো শরিক নেই, সার্বভৌমত্ব তারই, সব প্রশংসা তারই জন্য, তিনিই জীবন ও মৃত্যুদান করেন আর তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান।


হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর দুই পা ভাজ অবস্থায় কারো সঙ্গে কথা বলার পূর্বে দশ বার উপরোক্ত দোয়াটি পাঠ করে- তার আমলনামায় দশটি নেকি লেখা হয়, দশটি গুনাহ বিলুপ্ত করা হয় এবং দশগুণ মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়।


সে ওই দিন সব রকমের বিপদ থেকে মুক্ত থাকে, তাকে শয়তানের ধোঁকা থেকে নিরাপদে রাখতে পাহারার (ফেরেশতাদের দিয়ে) ব্যবস্থা করা হয়। তবে ওই দিন শিরক ছাড়া অন্য কোনো গুনাহ তাকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে না। -তিরমিজি


হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্র্ণিত, তিনি বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, শয়তান মানুষের অন্তঃকরণে (কলব) আসন গেড়ে বসে থাকে। যখন সে আল্লাহর জিকির করে তখন শয়তান কলব ছেড়ে পিছনে সরে যায়।


আর যখন জিকির থেকে অমনোযোগী হয়ে যায়, তখন আবার (কলবের মধ্যে) প্ররোচনা দিতে থাকে।