প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৩২
রাজধানীর মিরপুরে শুক্রবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো দল বা গোষ্ঠীকে বিশেষভাবে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ তা কখনো মেনে নেবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, বিতর্কিত ডাকসু-জাকসু নির্বাচনের পর থেকে জনমনে আগামী নির্বাচনের ফলাফলের স্বচ্ছতা নিয়ে তীব্র শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নীতি মাটির তলায় চাপা দিয়ে সরকার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করছে। তিনি সতর্ক করেন, যদি কোনো বিশেষ দল বা প্রার্থীকে নির্বাচনে জেতানোর নীলনকশা প্রয়োগ করা হয়, তা হবে জাতির জন্য চরম দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, জনগণ নিজের ভোটাধিকার রক্ষা করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে।
ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বিতর্কের বিষয় নেই, তবে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তা নিয়ে গুরুতর আপত্তি রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন নীলক্ষেত থেকে ডাকসুর ব্যালট ছাপানো হয়েছে এবং এটি কি কোনো একটি দলের স্বার্থে করা হয়েছে কিনা। তিনি বলেন, সরকারের উচিত ছিল এই গুরুতর বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তিনি দলীয় কর্মী ও নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান, যাতে এই চক্রান্ত প্রতিহত করা যায় এবং সকলকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন।
রিজভী আরও বলেন, জনগণ তাদের ভোটাধিকার রক্ষা করতে সক্রিয় থাকবে এবং যদি নির্বাচনে কোনো ধরনের কৌশলগত প্রভাব ব্যবহার করা হয়, তা জনগণ সহজে মেনে নেবে না। তিনি দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির গুরুত্বেও জোর দেন।
বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও অবাধ হওয়া উচিত, যাতে প্রতিটি ভোটারের অধিকার রক্ষা পায়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে এবং জনমনে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনবে।
বিজ্ঞানী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের হুঁশিয়ারি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দিকেও গুরুত্ববহ বার্তা দেয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।