ভারতীয় জেল থেকে মুক্ত ৯০ জেলে পতেঙ্গায় ফিরেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি - চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৭ই জানুয়ারী ২০২৫ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
ভারতীয় জেল থেকে মুক্ত ৯০ জেলে পতেঙ্গায় ফিরেছেন

সাগরে মাছ ধরার সময় ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক ৯০ বাংলাদেশি জেলে ও নাবিক মুক্তি পেয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ফিরেছেন। এফভি লায়লা-২ এবং এফভি মেঘনা-৫ নামের দুটি ফিশিং ভেসেলও তাদের সঙ্গে ফিরে এসেছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তারা কর্ণফুলী চ্যানেলের ১৫ নম্বর ঘাটে এসে পৌঁছান।  


গত ৫ জানুয়ারি দুপুরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক বন্দি হস্তান্তরের অংশ হিসেবে আটক থাকা ৯০ বাংলাদেশি এবং ৯৫ জন ভারতীয় জেলেকে মুক্তি দেওয়া হয়।  


এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরার সময় ভারতীয় কোস্টগার্ড দুটি ট্রলারসহ ৭৮ জন বাংলাদেশি জেলে ও নাবিককে আটক করে। খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে এই ঘটনা ঘটে। ট্রলার দুটি হলো এফভি লায়লা-২ এবং এফভি মেঘনা-৫। এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি এস আর ফিশিং নামক প্রতিষ্ঠানের এবং এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।  


এফভি লায়লা-২ গত ২৭ নভেম্বর সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল এবং ২০ ডিসেম্বর ফিরে আসার কথা ছিল। এতে ৪১ জন নাবিক-জেলে ছিলেন। এফভি মেঘনা-৫ গত ২৪ নভেম্বর সাগরে গিয়েছিল এবং ১৪ ডিসেম্বর ফেরার কথা ছিল। এতে ৩৭ জন নাবিক-জেলে ছিলেন।  


ভারতীয় কোস্টগার্ডের দাবি, এই দুটি ট্রলার ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করছিল। আটককৃতদের উড়িষ্যার প্যারাদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আদালতের মাধ্যমে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।  


এছাড়া গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকা এফভি কৌশিক প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ডুবে গেলে ১২ জন বাংলাদেশি জেলে ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক হন। তাদেরও একই অভিযোগে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়।  


মুক্তিপ্রাপ্ত জেলেরা ফিরে আসার পর তাদের পরিবারের সদস্যরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে তারা দাবি করেছেন, মাছ ধরার সময় নাবিকদের ভুলবশত আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রমের ঘটনা ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে আরও কার্যকর সমঝোতা প্রয়োজন বলে মতামত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।  


বাংলাদেশি ট্রলার মালিকপক্ষের অভিযোগ, তাদের নাবিকদের বিনা কারণে হয়রানি করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা বন্ধে উভয় দেশের সমুদ্রসীমা ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।