জার্মান আওয়ামীলীগের সন্মেলন নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। জোর পূর্বক কমিটি আদায় সহ সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামীলীগের নেতাদের শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে নতুন অবোধ সভাপতি এ কে এম বসিরুল আলম চৌধুরী সাবু এবং আব্বাস আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে হাবিব, শিপন, বাদল সহ এই ঘটনাই জড়িত ছিল। আরো অনেকে বলে জানা যায়। গত ২৭ জুলাই জার্মান আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল ফারুক খান, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা শ্রী অনিল দাস গুপ্ত, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান। সম্মেলনে উপস্থিত অনেকেই জানান প্রথম অধিবেশনের পর থেকেই সম্মেলনে অনিয়মের শুরু হয়, কোন প্রকার নিয়মের তোয়াক্কা না করেই দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরু করেন এবং অতিথিদের কোনো উপস্থিতি রাখেন নাই।
সাবু গংরা দ্বিতীয় অধিবেশনে অতিথিদের কাউকেই উপস্থিত না রেখে লোক দেখানো ভোটের মাধ্যমে সভাপতি – সাধারন সম্পাদক নির্বাচনের কাজ শুরু করেন। ভোট হলেও সে ভোট ছিলো লোক দেখানো আর কাউন্সিলর ছিলে জার্মানের কলেজ গুলোতে পড়তে আসা শিক্ষারর্থীরা সঠিক কোনো ভোটার উপস্থিতি রাখেন নাই এবং ভোটার লিস্ট প্রকাশ করতে বললে ও করে নাই। ভোটার আগেই এ ঘটনায় বার্লিন ও ফ্রাঙ্কফুর্ট আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সম্মেলন বয়কট করে স্থান ত্যাগ করেন। পরে রাত ১২:০০ দিকে প্রধান সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান বলেন এই সম্মেলন ঠিক ভাবে হয়নি সবাই কে নিয়ে পুনুরাই সম্মেলন এর মাধ্যমে কমিটি করতে বলেন! গভীর রাতে সাবুর লোকজন হল ছেড়ে দেয়ার নাম করে ভোট বন্দ করে দেন বলে অভিযোগ করেন উপস্থিত অনেকেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জার্মান আওয়ামীলীগের কয়েক নেতা ও গ্রীস, ইতালি, মাল্টা, স্পেন আওয়ামীলীগের নেতকর্মীরা বলেন আমরা হোটেল রুমে খাবার খাই ইউরোপীয় আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একসাথে।
ভোর রাতে সময় ৪:৫০ সাবু এবং আব্বাসের নেতৃত্বে কয়েকজন প্রথমে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামীলীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানের হোটেল কক্ষে গিয়ে জোর করে সভাপতি এ কে এম বসিরুল আলম চৌধুরী সাবু এবং আব্বাস আলী চৌধুরীকে সাধারন সম্পাদক করে একটি কমিটিতে সই করিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে দুজনকেই শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করার মত অপ্রতিকর ঘটনা ঘটে এবং অন্যান্য যারা হোটেল রুমে উপস্থিত ছিলেন তারা অনুরোধ করেন মারামারি না করতে। পরে তাদেরকে অনেক মারধর করেন তাতে মাল্টা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অাপেল আমিন কাউসার গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। জানা যায় ভোর না হতেই সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামীলীগের সভাপতি কাউকে কিছু না জানিয়েই জার্মান ত্যাগ করেন। জার্মান আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী সকালে ঘটনাটি প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল ফারুক খানকে জানালে তিনি কমিটি স্থগিত করার নির্দেশ দেন এবং বিষয়টা তিনি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সভাপতি সাথে কথা বলবেন, ও দেখবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে জানতে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদককে কয়েকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। জানা যায় তারা সারারিক ভাবে অসুস্থ আছেন। জার্মান আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতারা বলেন এর সঠিক বিচার ও এই রকম মিথ্যা ভাবে কমিটি করলো তার বাতিলের দাবি ও সন্ত্রাসী ভাবে মারধর করে জোরপূর্বক কমিটি স্বাক্ষর করে এর বিচার চান। আরো জানা যায় সাবু এর আগে ২ বার জার্মান আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন এই পরিচয় দিয়ে একাধিক খারাপ কাজ করেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তারা বলেন এই রকম কর্মী দের জন্য দল এর ভাবমুর্তি নষ্ট হয়। এরা দলের ও দেশের জন্য চিরশত্রু এবং ক্ষতিকর।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।