খাগড়াছড়িতে গত বৃহস্পতিবার রাতে সহিংসতার ঘটনায় তিনজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে জুনান চাকমা (২০), ধনঞ্জয় চাকমা (৫০) এবং রুবেল (৩০) অন্তর্ভুক্ত। নিহতদের মধ্যে জুনান চাকমা ও রুবেলের বাড়ি খাগড়াছড়ি সদরে, আর ধনঞ্জয় চাকমার বাড়ি দীঘিনালায়।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব ঢাকা পোস্টকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর, তাদের চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নিহতদের মরদেহ রাখা হয়েছে এবং বাকিদের চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে নারানখাইয়া ও স্বনির্ভর এলাকায় ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে রাতে ১২ জনকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন মারা যান।
খাগড়াছড়ির জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা জানান, গুরুতর আহত চারজনকে চট্টগ্রামে রেফার করা হয়েছে এবং আহতদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ। তবে গোলাগুলির ঘটনার কারণ এবং এতে জড়িত পক্ষগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে দীঘিনালায় দুই পক্ষের বিরোধের জেরে লারমা স্কয়ারের বাজারে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা, যাতে ৫০টির বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে যায় এবং পাঁচজন আহত হন।
স্থানীয় জনগণ এই সহিংসতার বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারা পরিস্থিতির উন্নতি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। এখন দেখার বিষয়, কর্তৃপক্ষ কিভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।