আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিচার কাজ শুরু করতে দলের ওপর তদন্তের সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের অঙ্গীকারের পরই প্রক্রিয়া শুরু হবে। রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরাতন ভবন পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম জানান, যদিও এখন পর্যন্ত দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আলাদা করে কোনো তদন্ত শুরু করা হয়নি, তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলমান তদন্তে আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, "প্রত্যেকটি তদন্তের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সদস্যদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি আমরা দেখতে পাচ্ছি। সরকার যখনই দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেবে, তখনই আমরা কাজ শুরু করব।"
এদিকে, তিনি আরও বলেন, "বর্তমানে তদন্তগুলো প্যারালাললি চলছে, তবে আমরা এখনও দল হিসেবে আলাদাভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করছি না। এখনও শুধু ব্যক্তিদের ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।"
অন্যদিকে, একই দিন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, শেখ হাসিনাসহ ২০১৬ সালের জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িতদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত হয়নি।"
ড. আসিফ নজরুল অভিযোগ করে বলেন, "এটি কোনো মামলা নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে একটি পিটিশন। আওয়ামী লীগ এবং তাদের সহযোগীরা এ ধরনের মিথ্যাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশে জনমত বিভ্রান্ত করতে এবং নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে।"
তবে, সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এবং তারা বিশ্বাস করে যে, আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থায় এসব অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।
এ পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং সরকার উভয়ের পক্ষ থেকে আপাতত নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে চলমান তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।