বর্তমান সময়কে সবচেয়ে কঠিন সময় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে আমরা যে অবস্থায় পড়েছি এটা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে কঠিন সময়। এখানে ভয়ভীতি-ত্রাসের মাধ্যমে এমন একটা অবস্থার তৈরি করা হয়েছে।এর থেকে মুক্তির একটাই উপায় বদলে যাওয়া।বদলে যাওয়ার একটাই পথ, আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে সরকারকে সরাতে হবে।শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বিনা বিচারে হত্যা, গুম করে দেওয়া, এগুলোর মধ্য দিয়ে ভয়ের সৃষ্টি করা হয়েছে।আমার মনে হয় বর্তমানে যত সাংবাদিক বেকার আছেন, এর আগে আর কখনও এমন ছিল না। ১৯৭৫ সালের বাকশাল কায়েমের পরে যে অবস্থা তৈরি হয়েছিল, পরোক্ষভাবে সেরকমই একটা অবস্থা হয়েছে।
বদলে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বদলে যাওয়ার একটাই পথ, আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই সরকারকে সরাতে হবে।আমরা অনেক চেষ্টা করছি। তবে সফল হচ্ছি না।আজকে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের নেত্রী কারাগারে।ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের বাইরে।আমাদের দলের নেতাকর্মীরা এক লাখ মামলায় ৩৫ লাখ আসামি। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।হত্যা করা হয়, গুম করা হয়।মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়।তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যেসব আইন আছে এ আইনগুলো থাকলেও যে অবস্থা না থাকলেও একই অবস্থা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, মূল বিষয় হলো একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে স্থায়ী করার জন্যে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্নভাবে কাজ শুরু হয়েছে।বিশেষ করে ২০১৪ সালের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন ও ২০১৮ সালে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ এখন এমন অবস্থায় চলে গেছে সে নিজেকে মনে করছে সে ছাড়া আর কেউ নেই।ফলে জাতিকে আবদ্ধ করে রাখার জন্য যা যা প্রয়োজন সেটা তারা করছে।সাংবাদিকরাই গণতন্ত্রের মূলভিত্তি উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতা না থাকলে গণতন্ত্র কখনোই বিকশিত হতে পারে না।গণতন্ত্রের মূল বিষয়টাই হলো সংবাদ মাধ্যম। সবদেশে সবকালে সাংবাদিকরা প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ভার্চ্যুয়াল এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল আউয়াল ঠাকুর, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, ডিইউজের সহ-সভাপতি নুরুল আমীন রোকন, বাছির জামাল, রাশেদুল হক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ কে এম মহসীন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।