প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৯:১২
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে ফেরার পথে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গাড়িবহরকে ঘিরে ধরে হামলা চালায়, যার ফলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। হামলার মুখে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সেনাবাহিনীর এপিসিতে ওঠে নিরাপদে ওই স্থান ত্যাগ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ভিডিওতে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় নেতারা এপিসিতে উঠে যান।
হামলার সময় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে রাবার বুলেট এবং টিয়ার শেল ছুড়ে হামলাকারীদের দমন করতে দেখা গেছে। এই উত্তেজনার কারণে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী এনসিপি নেতাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য পিছু হটতে বাধ্য হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টি ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলটি দেশের বিভিন্ন জেলায় পদযাত্রা করছে। এরমধ্যে আজ গোপালগঞ্জেও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই কর্মসূচিকে ‘১৬ জুলাই : মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নামে প্রচার করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে। তবে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে এই ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা পরিলক্ষিত হওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বেড়ে গেছে। রাজনৈতিক দলের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে দ্রুত সংলাপের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার প্রয়োজন বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
এনসিপি নেতারা বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চান এবং এ ধরনের হামলার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংসতা থেকে মুক্তিযুদ্ধের সোনার বাংলায় রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত হবে।
স্থানীয়রা বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা না থাকলে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং জনজীবনে উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই সকল পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।