প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ১৭:৫৭
রাজপথে সরব আন্দোলনের ঘোষণা দিলেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। বুধবার (২১ মে) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে সমর্থকদের প্রতি রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আন্দোলনকারী জনতার প্রতি সর্বাত্মক সংহতি জানাতে এবং তাদের সঙ্গে যতদিন প্রয়োজন রাজপথে সহাবস্থান করার জন্য অল্প সময়ের মধ্যেই হাজির হবো ইনশাআল্লাহ।’
এর আগে দুপুরে অন্য এক পোস্টে তিনি স্পষ্ট করে দেন, ডিএসসিসি মেয়র পদে শপথ গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘নির্দেশ একটাই— যতক্ষণ দরকার রাজপথ ছেড়ে ওঠে আসা যাবে না।’ তার এই বক্তব্য মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা নতুন করে আন্দোলনে উৎসাহ জোগায়।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আরেকটি পোস্টে তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি তীব্র সমালোচনা করে বলেন, গেজেট প্রকাশের পর ফ্যাসিবাদের রক্ষাকর্তারা কমিশনে চিঠি লিখে শপথ অনুষ্ঠান ঠেকাতে চেয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, স্বাধীন কমিশন কীভাবে এমন নির্দেশনা মেনে চলতে পারে?
তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, কমিশনকে ব্যবহার করে একটি পক্ষ তাকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে। তিনি বলেন, তাপসের স্বার্থে যারা কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও মাহফুজ ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেন।
এই পরিস্থিতিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ইশরাকের সমর্থকদের জড়ো হতে দেখা যায়। সকাল থেকেই মৎস্য ভবন, কাকরাইল ও যমুনা রোডে চলতে থাকে অবরোধ। স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা। ‘দফা এক দাবি এক, শপথ নিতে হবে এখনই’— এমন নানা স্লোগানে মুখর ছিল আশপাশ।
এদিকে, আদালতে আজ আবারও শুনানি হয় ইশরাকের শপথ না পড়ানো সংক্রান্ত রিটে। বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার আদেশের দিন ঠিক করেছেন। আন্দোলনকারীরা আদালতের আদেশের দিকেই তাকিয়ে আছেন।
প্রচণ্ড গরম আর বিকেলের বৃষ্টিও থামাতে পারেনি সমর্থকদের। নগর ভবনের সামনের আন্দোলন সরিয়ে নিয়ে তারা অবস্থান নিয়েছেন মৎস্য ভবন থেকে হাইকোর্ট পর্যন্ত এলাকাজুড়ে। তাদের দাবি, জনগণের রায় উপেক্ষা করে শপথ বিলম্ব করা হলে পুরো ঢাকা অচল করে দেওয়া হবে।