প্রকাশ: ১ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৫
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় এই নতুন শুল্কহার জানানো হয়। একই তালিকায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশসহ মোট একাধিক রাষ্ট্রের ওপর নতুন শুল্কহার আরোপ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের ঘোষণায় শুধু বাংলাদেশের ওপরই নয়, পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, এবং শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, অঞ্চলভিত্তিক আমদানিকৃত পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে পর্যালোচিত নীতির মাধ্যমে শুল্কহার নির্ধারণ করছে।
তালিকায় আরও রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন—যাদের ওপর ১৯ শতাংশ করে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ, এবং ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই নতুন শুল্কহার যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বৈশ্বিক বাণিজ্য কৌশলের অংশ বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান এবং কৌশলগত সম্পর্ক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র নতুনভাবে শুল্ক নীতি নির্ধারণ করছে।
এদিকে, পাল্টা শুল্ক নিয়ে বাংলাদেশসহ একাধিক দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা চলছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী আলোচনার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) দপ্তরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় আগের দুই দফায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে বলে জানানো হলেও, পাল্টা শুল্ক কমানোর বিষয়ে এখনো কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আসেনি।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই আলোচনায় অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও কূটনৈতিক চেষ্টার মাধ্যমে আগামীতে শুল্ক আরও কমানোর সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
এই পরিবর্তিত শুল্কহার বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে যেমন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে, তেমনি সম্ভাবনার দিকও উন্মোচন করেছে বলে মনে করছেন বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।