প্রকাশ: ১ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্প্রতি সম্পাদিত বাণিজ্য চুক্তিকে বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘আমরা গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচক দলকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাই। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয়।’
তিনি জানান, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে, তা প্রত্যাশিতের চেয়েও ভালো। আলোচক দলের এই সাফল্য কৌশলগত দক্ষতার পরিচয় বহন করে এবং দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় তাদের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আলোচক দল নিরলসভাবে কাজ করেছে। তারা শুল্ক, অশুল্ক বাধা ও জাতীয় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিষয়সহ নানা জটিলতা দক্ষতার সঙ্গে অতিক্রম করেছে।’
তিনি মনে করেন, এই চুক্তি বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ধরে রেখেছে এবং বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে প্রবেশাধিকারের সুযোগকে আরও প্রশস্ত করেছে। পাশাপাশি, দেশের মৌলিক জাতীয় স্বার্থও এতে সুরক্ষিত হয়েছে।
প্রফেসর ইউনূস আরও বলেন, ‘এই অর্জন শুধু বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না, বরং আরও বৃহত্তর সুযোগ ও সম্ভাবনার দ্বারও খুলে দেয়। এটি দ্রুততর প্রবৃদ্ধি ও টেকসই সমৃদ্ধির পথে আমাদের এগিয়ে নেবে।’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই কূটনৈতিক সাফল্য জাতির দৃঢ়তা ও ভবিষ্যতের প্রতি সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির এক মূর্ত প্রমাণ। দেশের অর্থনৈতিক দিগন্ত আরও উজ্জ্বল হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় জানানো হয়, বাংলাদেশসহ কয়েক ডজন দেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৩৫ শতাংশ থেকে শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের পণ্যের জন্য মার্কিন বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি হলো।