প্রকাশ: ১ আগস্ট ২০২৫, ১১:২২
সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া একটি চক্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতাকর্মীর গেরিলা প্রশিক্ষণের তথ্য উঠে এসেছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সরকারের নির্ভরযোগ্য সূত্র। গেরিলা প্রশিক্ষণ শুধু দেশের বাইরে নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেমন ঢাকা, গোপালগঞ্জ, দিল্লি ও কলকাতায় দেওয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া অনেকেই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী, যারা বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও এ প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছে। ৮ জুলাই রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে চারশো জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ চলাকালে সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়া হয়।
পুলিশের অভিযানে ১৩ জুলাই রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে সোহেল রানা ও শামীমা নাসরিন শম্পাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। তারা জানিয়েছে, ঢাকা দখল করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। তাদের পরিকল্পনা ছিল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের অপেক্ষায় থেকে সারা দেশ থেকে তালিকাভুক্ত হাজার হাজার নেতাকর্মী একযোগে ঢাকা আসবে এবং শাহবাগ মোড় দখল করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে।
এছাড়া আওয়ামী অধ্যুষিত বিভিন্ন জেলায় নেতাকর্মীরা মাঠে নামবে এবং বড় ধরনের সংঘাত ও অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা হবে। পরিকল্পনা ছিল, এ পরিস্থিতি সফল হলে শেখ হাসিনাকে দ্রুত ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার কামরুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, এটি একটি বড় কর্মযজ্ঞ এবং তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। এই ঘটনার তদন্তে ডিবি ছাড়াও অন্যান্য সংস্থাগুলো কাজ করছে।
অপরদিকে, বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে। তবে সরকার ইতোমধ্যে এই গোপন চক্রান্ত সম্পর্কে অবগত এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বিশ্বস্ত টিম বিষয়টি গোপনীয়ভাবে সামলাচ্ছে যাতে কেউ পালিয়ে যেতে না পারে।
এই ঘটনা দেশের রাজনীতিতে নতুন এক নাটকীয় মোড় এনে দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।