প্রকাশ: ২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:১০
বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাবের তথ্য খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) পদক্ষেপ নিয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএফআইইউ সাকিব ও তার পরিবারের সদস্যদের, যেমন— স্ত্রী উম্মে রোমান আহমেদ, আবুল খায়ের হিরুর বাবা আবুল কালাম মাদবর, হিরুর ভাই মোহাম্মদ বাশার, বোন কনিকা আফরোজ, এবং ব্যবসায়ী মো. নাজমুল বাশার খানসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করার অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। একই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় আবুল খায়ের হিরুকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে, হিরুর ব্যাংক হিসাব গত ২০ আগস্ট থেকে জব্দ রয়েছে।
সাকিব আল হাসান আওয়ামী লীগের মনোনয়নে গত ৭ জানুয়ারি মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আদাবর থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়। এসব ঘটনার মধ্যে সাকিবের সুনাম ও অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
প্যারামাউন্টের শেয়ার লেনদেনে কারসাজির অভিযোগে বিএসইসি বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে জরিমানা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে সাকিবের সাথে আরো কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে, যেমন ইসহাল কমিউনিকেশনকে ৭৫ লাখ টাকা, আবুল খায়েরকে ২৫ লাখ টাকা, আবুল কালাম মাতবরকে ১০ লাখ টাকা, এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও জরিমানা করা হয়েছে।
সাকিব আল হাসান পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং একটি ব্রোকারেজ হাউজের অনুমোদনও পেয়েছিলেন। তবে, তার ব্যবসায়ী জীবন শুরু হয় রেস্টুরেন্টের মাধ্যমে। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেন, যেমন বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, এবং ই-কমার্স। তার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্ট এখনো বাজারে কার্যকর।
বর্তমানে সাকিব আল হাসান ক্রিকেট খেলতে ভারতে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলি দেশের ক্রিকেট এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে নতুন আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, সাকিবের মতো একটি জননন্দিত চরিত্রের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ দেশের অর্থনীতির উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।