জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ভারত ও পাকিস্তানে। হামলায় ভারতের ৪৪ সামরিক সদস্য নিহত, আহত হন আরও অনেকে। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে দুই দেশ। প্রসঙ্গত, হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিরা যত হামলা চালিয়েছে বৃহস্পতিবারের হামলাটিই তার মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। এদিকে, এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ভারত। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, যারা একের পর এক এই ধরণের ভুল করে চলেছেন, তাদের এই জন্য উপযুক্ত মূল্য দিতে হবে। তিনি বলেন, জঙ্গিরা বিরাট ভুল করে ফেলেছে। এই হামলার জন্য যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আমি তাদের কথা দিচ্ছি তারা উপযুক্ত বিচার পাবে।
নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ যে রাস্তা দিয়ে চলছে তা তাদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে। সারা ভারতবাসী এই হিংসাত্মক ঘটনার উপযুক্ত জবাব দেবে। এরই মধ্যে জোরদার মহড়ায় নেমে গেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। আর এই মহড়াতেই বিশেষজ্ঞরা যুদ্ধাভ্যাস দেখছেন। লেজার প্রযুক্তির সাহায্যে বোমা নিক্ষেপ, রকেট লঞ্চারের ব্যবহার করা হয়েছে এই মহড়ায়। মিগ-২১, মিগ-২৭, মিগ-২৯, মিরাজ ২০০০-সহ ১৪০টি ফাইটার জেট, বেশ কিছু হেলিকপ্টার শক্তি প্রদর্শন করে এই মহড়ায়। এলসিএ তেজস, অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার, আকাশ (সারফেস টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র), অ্যাস্ট্রা (এয়ার টু এয়ার মিসাইল)-সহ সুখোই-৩০-এর মতো বিমানও রণকৌশল দেখিয়েছে।
প্রথম বার অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার, আকাশ (সারফেস টু এয়ার মিসাইল) সামরিক মহড়ায় অংশ নিল। জাগুয়ার, মিগ ২১ বাইসন, আইএল ৭৮, হারকিউলিস,এএন-৩২ বিমানও অংশ নিয়েছে সামরিক অনুশীলনে। কর্মসূচির শেষে তেরঙায় আলোয় রাঙিয়ে গিয়েছে পোখরান রেঞ্জ। উল্লেখ্য, পুলওয়ামার হামলার পরে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোন পথে এগোনো হবে তা নিয়ে এখনও কিছুটা সংশয় রয়েছে সরকারের অন্দরে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।