প্রকাশ: ৮ মে ২০২৫, ১:১
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মু অঞ্চলের আখনূর, সাম্বা, কাঠুয়া এবং আশপাশের আরও কয়েকটি স্থানে একযোগে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে করে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম নিরাপত্তাহীনতার অনুভব সৃষ্টি হয়।
সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) জানায়, এই হামলাগুলো পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পরিচালিত হয়েছে এবং এতে ব্যবহৃত হয়েছে ‘লয়টারিং মিউনিশান’। এই ড্রোনগুলো বিশেষভাবে এমনভাবে তৈরি যাতে তা নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগে কিছু সময় আকাশে চক্কর দিতে পারে।
‘লয়টারিং মিউনিশান’ মূলত একধরনের অস্ত্রযুক্ত ড্রোন, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অথবা রিমোট নিয়ন্ত্রণে চালিত হয়ে সরাসরি লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানে। এই ড্রোনগুলোকে ‘কামিকাজে ড্রোন’ নামেও অভিহিত করা হয়।
জম্মু শহরের আকাশে রাতভর চলা এই ড্রোন কার্যক্রমের পর শহরের বিভিন্ন স্থানে সাইরেন বাজতে শুরু করে এবং দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় প্রশাসন একাধিক জায়গায় জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা আকাশ থেকে একাধিক ‘বস্তু’ ভূপাতিত হতে দেখেছেন এবং এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জম্মু বিমানবন্দরের আশেপাশে এই বিস্ফোরণের তীব্রতা বেশি ছিল বলে জানা যায়।
এই ঘটনার পর ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্রুত সক্রিয় করা হয় এবং পাল্টা গুলি ছোড়া শুরু হয়। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করা যায়নি।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুরো অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং সম্ভাব্য আরও হামলার আশঙ্কায় গোটা এলাকা নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তান সরকার এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য না দিলেও, আন্তর্জাতিক মহলে দুই দেশের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
কাশ্মীর সীমান্তে এমন সংঘর্ষপূর্ণ পরিস্থিতি নতুন কিছু নয়, তবে প্রযুক্তিনির্ভর হামলার এই নতুন ধরণ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।