প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২২:৩৩
বরিশালের মাছের মোকামগুলো এখন ইলিশে ভরপুর। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বৃহৎ মৎস্য আড়ত নগরীর পোর্ট রোডে ইলিশের ছড়াছড়ি গেলেও তা ছিল মূলত সাগরের ইলিশ।তবে বুধবার দুপুর পর্যন্ত এখানে সাগর থেকে মাত্র একটি ট্রলার আসলেও বাকীগুলো বিভিন্ন নদ-নদী থেকে এসেছে।নদীর সুস্বাদু এ ইলিশের আমদানি বাড়লেও তুলনামূলকভাবে দাম কমেনি বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।আড়ৎদাররা জানিয়েছেন, যে পরিমান মাছের আমদানী হয়েছে তাতে দাম কিছুটা কম হওয়ার কথা থাকলেও ভারতে ইলিশ রপ্তানী হবে এমন খবরে ইলিশের দাম কমেনি। বরিশাল পাইকারী মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল জানান, মাছের প্রচুর আমদানী আছে এবং দামও কিছুটা কম।
খান ফিস সাপ্লাই নামক আড়তের স্বত্ত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন খান জানান, বুধবার পোর্ট রোড মৎস্য আড়তে প্রায় ১৫০০-১৭০০ মন ইলিশ এসেছে।মাত্র ১টি সাগরের ট্রলার এলেও বাকীগুলো এ অঞ্চলের বিভিন্ন নদী থেকে এসেছে।তাই নদীর ইলিশই এখন বেশি। তিনি আরো জানান, যে পরিমান ইলিশ এসেছে তাতে দাম কিছুটা কম হওয়ার কথা থাকলেও ভারতে ইলিশ রপ্তানী করা হবে এমন সংবাদে দাম কমেনি। তবে এখনও দাম ক্রেতাদের হাতে নাগালে রয়েছে বলে জানান তিনি।
ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতা শফিক বলেন, ক’দিন আগেও ইলিশের দাম অনেকটা কম ছিল।তখন অবশ্য সাগরের ইলিশের আমদানী ছিল বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নদীর ইলিশ সব সময়ই সু-স্বাদু হয়, তাই ৮শ’ কেজি দরে তিনি নদীর ইলিশ কিনেছেন।অপরদিকে বরিশাল পাইকারী মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল জানান, এলসি বন্ধ হওয়ার পর প্রতি মন ইলিশ ৩২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হলেও এলসি চালু হওয়ায় ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দরে প্রতি মন ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তিনি দাবী করেন, বর্তমানে ইলিশের দাম কম।