প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৫৪
দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেল লাইন প্রকল্পের কাজ চলমান। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগোলে ২০২২ সালেই ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই সরকার কাজ করছেদোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ হলে পর্যটন শহর কক্সবাজারে যাত্রী পরিবহনে বিশেষ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ট্যুরিস্ট কোচ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
প্রকিউরমেন্ট অব ৫৪ ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ ফর অপারেটিং ট্যুরিস্ট ট্রেন ফর ট্যুরিস্ট অব কক্সবাজার’ প্রকল্পের আওতায় বিলাসবহুল কোচ সংগ্রহ করা হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪১ কোটি ৫১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এই প্রকল্পে সরকারি ৯৬ কোটি ১২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। বাকি ৩৪৫ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা প্রকল্প ঋণ হিসেবে চীনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, “কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ হয়ে গেলে প্রাথমিকভাবে আমরা সাধারণ ট্রেন দিয়ে পথটি সচল রাখবো। পরে আমরা স্পেশাল ট্রেন হিসেবে ট্যুরিস্ট কার চালু করবো। আমাদের অধিকাংশ রেলপথ যেহেতু ব্রডগেজে হয়ে যাচ্ছে, সেই হিসেবে আমরা ব্রডগেজ ট্যুরিস্ট কার কিনবো। রেলপথে বিশেষ ট্রেন হিসেবে ট্যুরিস্ট কার চালু করলে ট্যুরিস্ট খাত অনেক সমৃদ্ধ হবে। তবে আমাদের এই উদ্যোগ এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ”
এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনাও (ডিপিপি) তৈরি করা হয়েছে। ৫৪টি কোচে ট্যুরিস্টদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকায় দাম কিছুটা বেশি হবে। প্রকল্পের অধীনে থাকছে ছয়টি মিটার গেজ ট্যুরিস্ট কোচ (সিটি), ১৩টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপার কার (ডব্লিউজেসি), ২২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার (ডব্লিইজেসিসি), সাতটি পাওয়ার কার (ডব্লিউপিসি) এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডাইনিং কার ও গার্ড ব্রেক (ডব্লিউজেডিআর)।