প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২০, ২:৫১
শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়ন এলাকায় মারপিটের ঘটনার অভিযোগ তদন্ত করতে গেলে মামলার বাদি ও তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশকে চর-থাপ্পর মেরেছে আহত করার অভিযোগ উঠেছে শৌলপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়াসিন হাওলাদার ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ।সোমবার ২৪ আগস্ট বিকাল এই ঘটনা ঘটিয়ে চেয়ারম্যান আত্মগোপন করেছে বলে জানাগেছে। এই ঘটনা পুলিশ বাদি হয়ে পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে রাতে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শৌলপাড়া ইউনিয়নের গ্রাম চিকন্দী গ্রামের মৃত গনি হাওলাদারের পুত্র রাজ্জাক (২৫) তার পিতার মৃত্যুতে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। সেই থেকে রাজ্জাককে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে তার মা করিমন নেছা।গত ১৭ আগস্ট রাজ্জাক গাছ কেঁটে শীকলসহ বাড়ির থেকে বের হয়ে যায়। পরে রাত ১টার দিকে প্রতিবেশী মৃত কাদের হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে উৎপাত শুরু করে। এই দেখে ওই বাড়ির সোহাগ হাওলাদার, ইতি বেগম, ইমা আক্তার ও রহিমা বেগম মিলে রাজ্জাককে মারপিট করে হাড় ভাঙ্গা জখম করে। আহত ছেলেকে হাসপাতালে রেখে করিমন নেছা পালং মডেল থানায় অভিযোগ করেন।
পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে বিষয়টি তদন্ত করতে যায় চিকন্দী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো. ফারুক আহমেদ। তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়াছিন হাওলাদারের ভাই মোজাম্মেল হাওলাদার বাদীনি করিমন নেছাকে মারধর করে।তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হাওলাদারকে আটক করে।এসময় তদন্ত কর্মকর্তা ফারুক আহমেদকে চর-থাপ্পর মেরে চেয়ারম্যান ইয়াছিন হাওলাদার তার ভাই মোজাম্মেলকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে পালং মডেল থানা পুলিশ ও চিকন্দী ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে আটক করে।
এই বিষয়ে চিকন্দী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো. ফারুক আহমেদ বলেন, পালং থানার নির্দেশে একটি অভিযোগের তদন্ত করতে এলাকায় যাই। আমার উপস্থিতিতেই চেয়ারম্যানের ভাই বাদিনীকে মারধর করে। আমি চেয়ারম্যানের ভাইকে গ্রেফতার করতে গেলে চেয়ারম্যান আমার সাথে ধস্তাধস্তি করে ও চর-থাপ্পর মেরে আসামীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।