পলাশে আনসার-গ্রামবাসী সংঘর্ষের ঘটনায় ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আল-আমিন মিয়া, উপজেলা প্রতিনিধি পলাশ (নরসিংদী)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৯শে মার্চ ২০২০ ০৩:৩৫ অপরাহ্ন
পলাশে আনসার-গ্রামবাসী সংঘর্ষের ঘটনায় ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নরসিংদীর পলাশে ইউরিয়া সার কারখানার ক্যাম্প আনসার সদস্যদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও  অজ্ঞাত নামা ১০০ থেকে ১২০ জনকে আসামী করে মামলা করেছে সার কারখানা কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকালে পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পলাশ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন, চরসিন্দুর ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান (৪৫), একই গ্রামের মোতালিব মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া, মনির উদ্দিনের ছেলে মুহিত মিয়া (৩০), শেখ অমব্বর আলীর ছেলে বাবুল আহম্মেদ (৪৫), ঘোড়াশাল পৌর এলাকার কাঠালিয়া পাড়া গ্রামের মানিক মিয়া, ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. মেহেদী (২৫), একই গ্রামের মুজিবুর, সুমন মিয়া ও মনির হোসেন।

তথ্যটি নিশ্চিত করে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দিন জানান, পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানার উন্নয়ন কাজের সুবিধার্থে গত এক মাস আগে একটি রাস্তা দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেয়। তবে ওই কারখানার পাশ দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য নতুন একটি রাস্তাও নির্মাণ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত সোমবার সন্ধ্যা রাতে একটি সড়ক র্দূঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী সার কারখানার ওই দেয়ালটি  ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এসময় গ্রামবাসীকে সার কারখানার ক্যাম্প আনসার সদস্যরা বাধা দিতে গেলে উত্তেজিত গ্রামবাসী আনসার সদস্যদের লক্ষ্যে করে ইটপাটকেল মারতে থাকে। এতে সার কারখানার নিরাপত্তাকর্মীসহ কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হন। পরে উত্তেজিত গ্রামবাসী সার কারখানার সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) শফিকুল ইসলামের একটি মোটরসাইকেল ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।  

উল্লেখ, গত এক মাস আগে খানেপুর গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একটি সড়ক দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই দফায় দফায় প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন গ্রামবাসী। এদিকে গত সোমবার বিকালে সার কারখানার দেয়ালের পাশে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে খানেপুর গ্রামের মৃত কাদিরুজ্জামানের ছেলে ইকবাল হোসেন ভূইয়া (৪৫) নামে একজন নিহত হন।এরপরই গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে সার কারখানা কর্তৃপক্ষের নির্মাণ করা ওই দেয়ালটি ভেঙে দেয়। এসময় আনসার সদস্যরা বাধা দিতে গেলে গ্রামাবাসীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে আনসার সদস্য ও গ্রামবাসী সহ কমপক্ষে ৫ জন গুরুত্বর আহত হন। 

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব