ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এখনো গ্যাস উদগীরণ হচ্ছে। ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিরাপত্তামূলক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পেট্রোবাংলা। অব্যাহত গ্যাসের চাপে ইতোমধ্যে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার, বেষ্টনীর দেয়ালসহ আশপাশের বেশ কিছু গাছপালা ধসে পড়েছে। বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, সামান্য আগুনের স্পর্শে আসলেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এদিকে আতঙ্কে মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন আশপাশের বাসিন্দারা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কসবা সীমান্তবর্তী গ্রাম শেরেবাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের এক অংশে গভীর নলকূপ বসানোর কাজ চলার সময় বুধবার সকাল থেকে পাইপের মুখ দিয়ে তীব্র গতিতে বিকট শব্দে গ্যাস, পানি ও বালি বের হয়ে সৃষ্টি হয় বৃহৎ আকার গর্তের। গ্যাসের তীব্র চাপে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার, বেষ্টনী দেয়াল, আশপাশের বড়-বড় গাছ পালা ধসে পড়েছে। আতঙ্কে বাড়িঘরের মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন বিদ্যালয়ের পাশের বাসিন্দারা। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুনের ঝুঁকি এড়াতে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, দুই এক দিনের মধ্যেই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছি আমরা।
এদিকে গ্যাস উদগীরণ স্থল পরিদর্শন করে বাপেক্স এর জিএম জানান, তারা আলামত পরীক্ষা করছেন। পাশাপাশি ঘটনা পর্যবেক্ষণও করছেন। বাপেক্সের জিএম আলমগীর হোসেন বলেন, কিছুদিন এটা দেখেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আশপাশে সতর্ক থাকতে হবে।
কসবার উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউছার ভূইয়া জীবন জানান, তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছেন। তাদের জন্য শুকনা খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের ১ কিলোমিটারের মধ্যে সালদা গ্যাস ক্ষেত্র রয়েছে। সেখান থেকে দৈনিক সাড়ে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।