প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১৭:৩৪
চীন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু, প্রতিবেশী ও উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে থাকতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে ওয়াং ই জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক কেবল কূটনৈতিক নয়, এটি একটি পারস্পরিক আস্থা ও উন্নয়নের অংশীদারিত্বে গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, চীন চায় বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং এই প্রক্রিয়ায় তারা বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত অগ্রগতিতে চীনের অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন এবং বলেন, বাংলাদেশ নিজের জাতীয় প্রয়োজন অনুযায়ী উন্নয়নের যে পথ বেছে নেবে, তাতে চীন পাশে থাকবে। বৈঠকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নানা ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন ওয়াং ই। তিনি জানান, এই দীর্ঘ কূটনৈতিক সম্পর্ককে সামনে রেখে দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে আরও গভীর সহযোগিতার ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে।
চীনের এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশ ও অন্যান্য এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে আধুনিক ও উন্নত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তার মতে, এই অঞ্চল উন্নয়নের অপার সম্ভাবনাময় এবং চীন এ সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে চায়। ওয়াং ই জানান, পারস্পরিক স্বার্থ ও আস্থার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এই সম্পর্ক শুধু সরকারের স্তরে নয়, জনগণের মধ্যেও বিশ্বাসের পরিমণ্ডল তৈরি করেছে।
এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও চীনের সহযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে যৌথ কর্মপরিকল্পনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীনের এমন বার্তা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে এবং ভবিষ্যতের কৌশলগত সহযোগিতার জন্য এক ইতিবাচক বার্তা।
মেটা কী-ওয়ার্ডস: