প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০:২৭
রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার ব্যবসায়ী মো. সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে ও দেশব্যাপী সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে কুমিল্লার দেবীদ্বারে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেল ৫টায় দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন থেকে ‘সাধারণ ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ।
মিছিল শেষে নিউমার্কেট এলাকার স্বাধীনতা স্তম্ভের পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তৃতা রাখেন নাহিদুল ইসলাম, কাজী নাসির, সিয়াম ইসলাম, ইয়াসিন আরাফাত, আমিনুল ইসলাম হৃদয়, মামুন, আজিম পাঠান, খাইরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, জহিরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, সোহাগ হত্যাকাণ্ড ছিল একটি নৃশংস ও পূর্বপরিকল্পিত হামলা। এটি কেবল একটি ব্যক্তির ওপর হামলা নয়, এটি একটি ব্যবসায়ী শ্রেণিকে আতঙ্কিত করার গভীর ষড়যন্ত্র। তাঁরা বলেন, এই বর্বরোচিত ঘটনার দায় বর্তমান সরকার এড়াতে পারে না।
বক্তারা আরও বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা এখন চাঁদাবাজদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার জন্যই এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
সমাবেশে ছাত্রনেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা ২০২৪-এর আন্দোলন-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন আশার বাংলাদেশ কল্পনা করেছিলাম – যেখানে থাকবে না স্বৈরতন্ত্র, থাকবে না চাঁদাবাজি কিংবা সন্ত্রাস।
তাঁরা বলেন, যদি কেউ আবারও স্বৈরাচারী রূপ ধারণ করতে চান, তবে তাদের পরিণতি হবে আওয়ামী লীগের মতোই। দেশের ছাত্র-জনতা আর বসে থাকবে না, প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান। পাশাপাশি দেশের প্রতিটি সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানান।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা জানান, সাধারণ মানুষ আজ ঘরে-বাইরে নিরাপদ নয়। এ অবস্থার অবসানে প্রয়োজন নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন।
দেবীদ্বারে এই বিক্ষোভ প্রমাণ করে, সাধারণ মানুষ আজ আর নিরব থাকতে চায় না। ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।