বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি উড়িয়ে দেয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মো. সাঈদ খোকন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে ‘করোনাভাইরাসে প্রতিকার ও করণীয়’ শীর্ষক সায়েন্টিফিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
সাঈদ খোকন আরও বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সচেতনতামূলক প্রতিরোধ ব্যবস্থার মাধ্যমে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য আগে থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে ব্যাপকভাবে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। আমাদের ব্যবহƒত নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক কিছু চীন থেকে আসে। ৯০ শতাংশের বেশি জিনিসপত্র চীনের তৈরি। এমনকি আমাদের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু চীন বাস্তবায়ন করছে। এজন্য চীনাদের সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ। এ কারণে আক্রান্তের আশঙ্কা কোনোভাবেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। এ বাস্তবতাকে সামনে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
মেয়র আরও বলেন, কোনোভাবে বাংলাদেশে এটি এসে গেলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। আমরা চাই না এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক। আমরা আলাহর কাছে প্রার্থনা করি- এসব বালা-মুছিবত থেকে তিনি যেন আমাদের রক্ষা করেন।
সেমিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে প্রতিরোধের বিষয়ে জোর দিতে হবে। কারণ প্রতিরোধই প্রতিকার। তাই প্রতিরোধে মনোযোগী হলে প্রতিকারের বাড়তি কোনো কিছুর প্রয়োজন হবে না। সুতরাং এ রোগের প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ অতিগুরুত্বপূর্ণ। এরইমধ্যে সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এ রোগ বহনকারী কেউ যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বন্দরগুলোতে স্ক্যানার বসানো হয়েছে। এখন শুধু প্রয়োজন সচেতনতা।
সেমিনারে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেসা, অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এছাড়া সেমিনারে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক এবং বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।