প্রকাশ: ৯ জুলাই ২০২৫, ২০:১৪
ভারতের প্রতি বিবেক ও নৈতিক স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্বাসযোগ্যভাবে অভিযুক্ত একজন ব্যক্তিকে আর রক্ষা করার সুযোগ ভারতের নেই।”
বুধবার (৯ জুলাই) এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন। দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যে আইনগত অনুরোধ জানানো হয়েছে, ভারত সে অনুরোধে সাড়া দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার ভাষায়, “এই অবস্থান এখন আর গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি বলেন, আঞ্চলিক বন্ধুত্ব, কৌশলগত সম্পর্ক কিংবা রাজনৈতিক উত্তরাধিকার কোনো কিছুই বেসামরিক নাগরিকদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের অজুহাত হতে পারে না।
শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে সম্প্রতি বিবিসির ইনভেস্টিগেশন ইউনিট ‘বিবিসি আই’-এর একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদনের উল্লেখ করেন। সেই প্রতিবেদনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মদদে সহিংসতার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলন দমন অভিযানে শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ ভূমিকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে যে অডিও ও ভিডিও ফুটেজ রয়েছে, তা আন্তর্জাতিক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের যাচাইয়ে প্রমাণিত একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শফিকুল আলম আরও বলেন, “সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে—এটি এক বিষয়; কিন্তু আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও নিরপেক্ষ একটি গণমাধ্যম বিবিসি যখন স্বাধীন তদন্ত করে প্রমাণ হাজির করে, তখন তা বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে উপেক্ষাযোগ্য নয়।”
তিনি ভারত ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমগুলো যেসব বর্বরতা উন্মোচন করেছে, তার নিরপেক্ষ বিচার হওয়া জরুরি। ভারতসহ গোটা বিশ্বের উচিত এখন ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে অবস্থান নেওয়া।”
বিবৃতির শেষ অংশে শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ ন্যায়বিচার চায়, ভুক্তভোগীরা প্রত্যাশা করে বিচারিক সমাপ্তি। এখন সময় এসেছে দেখানোর—কোনো নেতা আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”