বৈঠক বাতিল, ঢাকার পরিবর্তে দিল্লিতে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৬শে নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
বৈঠক বাতিল, ঢাকার পরিবর্তে দিল্লিতে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো নিয়ে দুই দেশের যৌথ কমিটির বৈঠকের নির্ধারিত তারিখ হঠাৎ করে স্থগিত করেছে মালয়েশিয়া। বৈঠকের নতুন তারিখ ঘোষণা হয়নি এখনো। বৈঠক স্থগিতের বিস্তারিত কারণ জানাতে পারছে না ঢাকা। তবে বাংলাদেশ সফর বাতিল করে বর্তমানে ভারত সফরে রয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারান। বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে তারই মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল। এতে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো নিয়ে শঙ্কা রয়েই গেল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের তরফে বৈঠকের পূর্ণ প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু মালয়েশিয়া বৈঠকটি স্থগিত করে কোনো কারণ না জানিয়েই। ফলে কবে নাগাদ বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার উন্মুক্ত হবে? তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই গেল। পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, কী কারণে বৈঠকটি স্থগিত হলো তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। কূটনৈতিক একটি সূত্র অবশ্য দাবি করেছে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের নিয়ন্ত্রণ পেতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের একাধিক সিন্ডিকেট চেষ্টা করছে। তারা মালয়েশিয়ান সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দেনদরবার করছে। বৈঠক স্থগিতের পেছনে এটি একটি কারণ হতে পারে।

দ্রুততম সময়ের মধ্যে বৈঠকে নতুন তারিখ পেতে বাংলাদেশের তরফে চেষ্টা চলছে জানিয়ে কুয়ালালামপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, জনশক্তি আমদানি তথা বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে কুয়ালালামপুরের কিছু কাজ বাকী রয়েছে, বিধায় তারা তা শেষ করেই বৈঠকটি করতে চায়। সেটি শ্রম নিয়োগের স্বচ্ছতার সঙ্গে যুক্ত। ফলে তারা কিছুটা সময় নিচ্ছে হয়তো। তবে, কবে নাগাদ বৈঠকটি হতে পারে সেই ধারণা এখনো পাননি বলে দাবি বাংলাদেশ দূতের। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে সুখবর আসছে- দেশটি সফর শেষে এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন খোদ প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। গত রোববার ছিল দুই দেশের যৌথ কমিটির বৈঠকের নির্ধারিত তারিখ।

এ বিষয়ে বায়রা মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, দুই দেশের মধ্যে কাজ হবে- এটা তো সিদ্ধান্ত হয়েই আছে। কিন্তু একটা প্রটোকল স্বাক্ষর হবে, সেই ব্যাপারটা নিয়ে দেরি হচ্ছে। আশা করছি, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তারিখ পুনরায় নির্ধারিত হবে।’ তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ার কেবিনেট বলে দিয়েছে, তাদের ছয় লাখ কর্মী প্রয়োজন। সুতরাং সে দেশে কর্মী প্রয়োজন, এটা নিশ্চিত। কী প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানো হবে সেটিও মোটামুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন কথা হলো, কবে থেকে শুরু হবে কর্মী পাঠানো- সেটাই বিষয়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ নভেম্বর মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ। মন্ত্রীর বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, অভিবাসন ব্যয় কমাতে দুই দেশ একমত। দুই দেশের মধ্যে যেসব আলোচনা হয়েছে, তা চূড়ান্ত করতে ২৪ ও ২৫ নভেম্বর জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে। কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই স্থগিত করা হল বৈঠকটি।

ইনিউজ ৭১/এম.আর