ঘূর্ণিঝড়ে কেড়ে নিল পিরোজপুরের কলা চাষির স্বপ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ২২শে নভেম্বর ২০১৯ ০৫:৫১ অপরাহ্ন
ঘূর্ণিঝড়ে কেড়ে নিল পিরোজপুরের কলা চাষির স্বপ্ন

ইন্দুরকানীতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল কেড়ে নিল কলা চাষি আলমগীরের দুচোখ ভরা স্বপ্ন এখন দিশে হারা তিনি । উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের চরনী পত্তাশী গ্রামের  বাসিন্ধা আলমগীর সেখ দুচোখে স্বপ্ন নিয়ে একদিন শুরু করে ছিলেন কলা চাষ। নিজের জমা জমি ছিলনা তাই অন্যের জমি বর্গা নিয়ে তার এই পথচলা শুরু ঠিক ১২/১৩ বছর আগে থেকে। বেসরকারি  উন্নয়ন সংস্থা ডাকদিয়ে যাই ইন্দুরকানী শাখা থেকে লোন নিয়ে তার ব্যাবসা চলছিল ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাকে সব লন্ড ভন্ড করেদিল বর্গা চাষি আলমগীরের দুচোখ ভরা স্বপ্ন এখন দুচোখে শুধু অশ্রু, কিভাবে কাটবে তার আগামী দিনগুলো আর কি করে দিবে ডাকদিয়ে যাই সংস্থার ঋণের টাকা। 

আালমগীর চরনি পত্তাশিতে বিভিন্ন জনের মালিকানা জমি থেকে ৯ বিঘা (৬ একর) বাৎসরিক ১৫/২০ হাজার টাকা নগদ খাজনায় বন্ধক নিয়ে তার কলা চাষ শুরা করেন। আলমগীর সেখ জানান ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে আমার কলা ক্ষেত একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি এখন নিঃস্ব। সরকার বা কোন সংস্থা থেকে আমরা কোন সহায়তা পাইনি। সরকার আমাদের সহযোগীতা করলে আমরা আবার কলার চাষ শুরু করতে পারব।

কলা চাষের উপর ২ বছর মেয়াদে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন বেসরকারি উন্নয় স্ংস্থা ডাকদিয়ে যাই ইন্দুরকানী শাখা থেকে যার ১২ কিস্তির ৯ কিস্তি দেয়া হয়েগেছে ঘূর্ণিঝড় বুল বুলের আঘাতের পূর্বে। বর্তমানে কয়েকটি কিস্তি বাকি এখন ডাকদিয়ে যাই সংস্থা ঋণের কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছে কিকরে  ঋণের কিস্তি দেবে আর কিবা খাবে ছেলে সন্তান দের নিয়ে পাশে দাড়াবার কেহই নেই। কথা হয় কলা চাষি আলমগীরের সাথে তিনি জানান  ঝড়ের পরে ক্ষেতের এই অবস্থাদেখে একবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু সন্তানদের ও সংসারের দিকে চেয়ে তা করতে পারিনায়। এখন কি করব আর কিদিয়ে ঋণ শোধকরবো বুঝতে পারছিনা। ঋণ নেয়ার সময় সংস্থায় বিমা করেছি এখন বিমার সুবিধাটুকুও দিতে চায়না স্ংস্থা  তাদের  কলা বাগানের  অবস্থা দেখিয়েছি  তারা এখন কিছু বলেনা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাগানের  কলাগাছের সব গুলো মাথা ভেঙ্গে পড়ে  আছে আর চাষির চোখে পানি হাউমাইকরে কাদছে। পত্তাশী ইউপি ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ রুহুল আমিন জনান আমাদের পত্তাশীর সব থেকে বড় কলা চাষি আলমগীর সেখ তার কলাবাগানের যে ক্ষতি সাধন হয়েছে তা অনেক বেশি  এখন তার যে অবস্থা যেকোন সময় এক্সিডেন্ট করতে পারে। তার ১০ লক্ষ টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে আলমগীরের।  

এব্যাপারে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডাকদিয়ে যাই ইন্দুরকানী শাখা ব্যবস্থাপক  মাইকেল দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি  জানান আমরা এখন পর্যন্ত উপরের কোন আদেশ পাইনী ঋণ গ্রহীতাদের কোন রকম সহায়তা দেয়ার। যদি অর্ডার হয় তবে ঋনগ্রহীতাদের  সহায়তা দেয়া হবে।এছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।

২০১৭ সালে প্রলয়ংকারি ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতের পরে বিভিন্ন সংস্থা ক্ষতি গ্রস্থদের সহায়তা দিয়েছে কিন্তু ১০ নভেম্বর ২০১৯ ইং তারিখের ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতের পরে বাংলাদেশের কোন উন্নয়ন স্ংস্থা কোন রকম সহায়তা দেবার জন্য এখনও এগিয়ে আসেনি। কিন্তু সিডরের মত এখনও অনেক ক্ষতি হয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে কলা চাষি দের। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়রা সিদ্দীকা জানান আমদের ইন্দুরকানী উপজেলায় কলাচাষিরা সবথেকে বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব