হিজলা থানার পাশে প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ২৭শে নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪১ অপরাহ্ন
হিজলা থানার পাশে প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণ

বরিশালের হিজলা থানার পাশেই হিন্দু বাড়িতে সুমা (২২) নামে এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণ করেছে , একই স্থানের মৃত রমনি দাসের লম্পট ছেলে কমল দাস। ধর্ষক কমল পেশায় একজন অটো চালক। ধর্ষণকারী অপরাধ করেও ঘুরে বেড়াচ্ছে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে। হিন্দু সমাজপতি খুন্না মন্দিরের সেক্রেটারি পল্লী চিকিৎসক মানিক লাল দাস, ধর্ষণের ব্যাপারটি সমাধান করে দেয়ার কথা বলে, ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার জন্য প্রতিবন্ধী যুবতীকে সুকৌশলে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে।

সমাজপতি এই মানিক লাল দাসের কারণে হিজলা থানায় মামলা করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে "ইনিউজ ৭১" কে কথা গুলো জানিয়েছে ধর্ষিতার বড় ভাই সীবু মালু। গৌরনদী উপজেলার টরকি বন্দরের পাল পাড়ার মৃত অমূল্য মালুর ছোট মেয়ে প্রতিবন্ধী সুমা। জীবিকার তাগিদে হিজলা থানার পাশে অলি উদ্দিন মাস্টারের বাসায়  ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকে সীবু মালু। সেখানেই বেড়াতে আসে সুমা। বেড়াতে এসেই প্রতিবন্ধী মেয়েটির জীবনে আরেকটি সর্বনাশ ঘটে।

ঘটনার রাতে ঐ পাড়ায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সীবুর বাসার সবাই নিমন্ত্রণে যায়। প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে সুমা বাসায় থাকে। এই সুযোগে লম্পট কমল এসে জোর করে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা সবার মুখে মুখে এলাকায় ছড়িয়ে পরে। ভাই সীবু মালু ধর্ষণের ঘটনা ধর্ষক কমলের পরিবারকে জানালে, ধর্ষকের পরিবার সমাজপতি মানিক লালের উপর ন্যস্ত করে। সমাজপতি মানিক লাল দাসকে জিজ্ঞেস করলে জানায়, দুই পক্ষ তার কাছে এলে মন্দিরে বসে এর সমাধান দিবেন।

তবে মানিক লাল এও জানায় মেয়েটি এলাকায় নেই। মানিক লালের কাছে আরো জানতে চাওয়া হয়, ধর্ষণের ঘটনার সামাজিক সমাধান নেই, আপনি কেনো আইনের আশ্রয়ে দিচ্ছেন না। এর জবাবে মানিক লাল জানায়, হিজলা থানার ওসি ঘটনাটি জানেন। প্রতিবন্ধী ধর্ষণের ঘটনার ব্যাপারে হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ অসীম কুমার সিকদার জানান, ঘটনার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। সমাজপতির ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া আর হিজলা থানার সাহায্য না পেয়ে, ধর্ষিতার পরিবার দিশেহারা হয়ে পরেছে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর