ঝালকাঠি সদর উপজেলার ১০নং নথুল্লাবাদ ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন যুবলীগ নেতা তাজুল ইসলাম। তিনি এ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বহিষ্কৃত চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত।
৭ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণা জনসাধারণের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি রাজনৈতিক অস্থিরতার একটি নতুন অধ্যায়।
নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতির বাড়ির নিকটবর্তী হওয়ায় তাজুল ইসলামকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার পেছনে রাজনৈতিক হাতছানি থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় সেচ্ছাসেবক দলের একজন যুগ্ম আহ্বায়ক জানান, তাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবারের সদস্যদের বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়ে আসছেন। তবে ইউনিয়নের ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির নেতারা জাহাঙ্গীর সরদারের সাথে মিলিত হয়ে রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করেছেন।
এক প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা বলেন, "এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একক আধিপত্য ছিল। বর্তমান চেয়ারম্যানের দ্বারা নির্বাচিত সকল ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ থেকে।" তিনি আরও বলেন, “সরকারি হামলায় ছাত্র-জনতার ওপর অংশগ্রহণকারী সদস্যরা এখনো রাজনৈতিক পজিশনে রয়েছেন।”
তাজুল ইসলামকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার পেছনে কিছু অস্বচ্ছতা রয়েছে বলেও মনে করছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। তারা অভিযোগ করেন, তাজুল ইসলাম ও বিএনপি সভাপতির মধ্যে একটি গোপন যোগাযোগ রয়েছে, যা তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করেছে।
এদিকে, যুবদলের নেতারা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। তারা বলেন, "যদি এভাবে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত হয়, তবে এটি শহীদদের রক্তের প্রতি অবমাননা হবে। প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে এবং ইউনিয়ন বিএনপির সংস্কারের দাবি তুলেছেন।"
এই ঘটনার পর থেকে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে গেছে এবং বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষোভের উদ্রেক হতে পারে। এটি রাজনৈতিক অস্থিরতার সূচনা হতে পারে, যা ভবিষ্যতে আরও জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।