কাউখালীতে ৫দিন ব্যাপী রাস উৎসব শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ১৩ই নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৬ অপরাহ্ন
কাউখালীতে ৫দিন ব্যাপী রাস উৎসব শুরু

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাঁস পূর্ণিমায় শ্রীশ্রীমদ্ দূর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেব এর ১২৮ তম অবির্ভাব উপলক্ষে পিরোজপুর জেলার কাউখালীতে শ্রীগুরু সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আশ্রমের ৫ দিন ব্যাপী বাৎসরিক উৎসব  বুধবার (১৩ নভেম্বর) শুরু হয়েছে। সকাল ৯টায় হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহণে সংঘ পতাকা উত্তোলন শেষে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা আশ্রম প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে কাউখালী বন্দর প্রদক্ষিন করে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন আশ্রমের কেন্দ্রীয় সভাপতি স্বামী  জগন্নাথানন্দ সরস্বতী, সাধারণ সম্পাদক রনঞ্জয়  কৃষ দত্ত, কোষাধ্যক্ষ বিপুল কৃষ্ণ ঘোষ, প্রচার সম্পাদক ভক্ত কর্মকার ও শোভাযাত্রা উপকমিটির আহবায়ক মানিক লাল কর প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মৃদুল আহম্মেদ সুমন, কাউখালী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ মিল্টন, সহকারী ভুমি রফিকুল হক, ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম সহ আরও অনেকে।

এ উপলক্ষে আশ্রম প্রাঙ্গনে বিশাল এলাকা জুড়ে বসেছে রাঁস মেলা। নাগরদোলা সহ রমকারি জিনিসের পসরা সাজিয়েছে দোকানিরা। পাহাড়ী কাঠের নকশায় গড়া আকর্ষনীয় ফার্নিচারসহ দূর দূরান্ত থেকে দোকানীরা এসেছে এই মেলায়। শীতের গরম কাপড়, শিশুদের বিনোদনেরও অনেক খেলনা সামগ্রীতে জমে উঠেছে এ আনন্দমেলা।  প্রতিবছর রাসপূর্ণিমা তিথিতে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কাউখালী পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও উৎসবের  প্রচার, তথ্য ও অনুসন্ধান উপকমিটির যুগ্ম আহবায়ক সুব্রত রায় জানান, বিশ্ব চরাচরের দুঃখ বিমোচন, অর্ধমের গ্লানি থেকে রক্ষা ও ধর্ম সংস্থাপণার্থে বিশ্ব শান্তি কামনায় ৫ দিন ব্যাপী এ উৎসবে ২৪ প্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সারা দেশের ভক্তবৃন্দসহ জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেেেষ প্রায় লক্ষাধিক ভক্ত ও পূন্যার্থীর সমাগম ঘটবে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত , নেপাল ও শ্রীলংকা থেকেও ভক্তবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে সমবেত হবেন।  এ আশ্রমের সেবামূলক অনেক কার্যক্রম রয়েছে। এর মধ্যে মন্দিরভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, দাতব্য চিকিৎসা শিবির পরিচালনা, সুরেন্দ্রনাথ দে স্মৃতি পাঠাগার পরিচালনা ও দৈনিক দরিদ্র নারায়ন সেবা অন্যতম। 

এছাড়াও অন্যান্য কর্মসূচির মদ্যে রয়েছে মংগল আরতি, শ্রীমদ্ভাগবদ গীতা ও গুরুগীতা পাঠ, বস্ত্র বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সরকারি হাসপাতালে  দুঃস্থ রোগীদের মধ্যে ফল বিতরণ, সান্ধ্যকালীন  প্রার্থনা, ধর্ম সভা ও গীতি আলেখ্য ইত্যাদি। ১৭ নভেম্বর সমাপনী দিনে গুরুপূজা শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। 

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব