মা হিসেবেও আবরার হত্যার বিচার করব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ৯ই অক্টোবর ২০১৯ ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
মা হিসেবেও আবরার হত্যার বিচার করব

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হত্যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের ক্যাম্পাসে যাওয়া উচিত ছিল। মঙ্গলবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ভিসির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উনি কেমন ভিসি? একটা ছাত্র মারা গেল, আর তিনি এতটা সময় বাইরে ছিলেন? আবরারের জানাজায়ও তার অংশ নেয়া উচিত ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এর সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি পেতেই হবে। কাউকে একচুলও ছাড় দেয়া হবে না। শুধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই নয়, আমি একজন মা হিসেবে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করব। তিনি বলেন, এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীদের সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন নানা রকম উসকানি দেয়া হবে কিন্তু কোনো ফাঁদে পা দেয়া যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। অনেকে আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। আমি ফুজেটগুলো সংরক্ষণ করতে বলেছি। আমরা ব্যবস্থা তো নিচ্ছি। নিজ দলের বলে কাউকে তো ছাড় দিচ্ছি না। তার পরও কিছু মানুষ ও কিছু সংগঠন আছে, যারা সরকারের ভালো কিছু চোখেই দেখে না। সবসময় তারা নেগেটিভ বিষয় খোঁজার চেষ্টা করে। এ ঘটনা নিয়ে কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, কাদের নির্দেশনায় এটা হয়েছে, সব খুঁজে বের করা হবে। তিনি বলেন, আমি দেশটাকে একটা জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি। এমন সময় নানা রকম ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ। 

ইনিউজ ৭১/এম.আর