২৪ ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে, আহত ৩
রাজধানীর মিরপুর-৭ নম্বর সেকশনের ঝিলপাড় বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনের আহতের খবর পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর অপারেশন (মেইনটেনেন্স) লে. কর্ণেল জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মোট ২৪টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তদন্তের পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনি বলা যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পানির স্বল্পতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছিল। তবে এখন সেটা নিয়ন্ত্রণে আছে। ৭০ ভাগ আগুন নেভানো হয়েছে। ৩০ ভাগ নির্বাপন করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পানির স্বল্পতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছিল। তবে এখন সেটা নিয়ন্ত্রণে আছে। এর আগে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আছে; ছড়ানোর আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছিলেন ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (ঢাকা) দেবাশীষ বর্ধন।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে রূপনগর থানাধীন চলন্তিকা মোড় এলাকার বস্তিটিতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। বিষয় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মো. এরশাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট আগুন কাজ শুরু করে। পরে আরও পাঁচটি ইউনিট যোগ দেয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বস্তিতে অন্তত সাত হাজার ঘর রয়েছে। ঈদের কারণে অনেকেই ঘর তালা দিয়ে গেছেন। বস্তির সব ঘর প্রায় পুড়ে গেছে। অনেকগুলো বহুতলা ভবন রয়েছে এখানে, আগুন সেখানেও ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকে জানিয়েছেন, কয়েকটি টিনের ঘরে বিদ্যুতায়িত হয়ে দুজন আহত হয়েছেন। একটি দোতালা ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ভেতরে কেউ আটকা পড়েছে কিনা, সে বিষয় এখনও কেউ নিশ্চিত হতে পারেননি।
প্রথামিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। ডিউটি অফিসার মো. এরশাদ হোসেন বলেন, আপাতভিত্তিতে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি। রূপনগর থানা পুলিশের সঙ্গে যোগযোগ কথা হলেও ব্যস্ততার কারণে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাতাসের কারণে আগুন বহুতল ভবনের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। বস্তির পাশে গাড়ি চলাচলের জন্য কোনো রাস্তা নেই। ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারছে না। জনসাধারণ ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি থেকে পাইপ টেনে আগুন নেভাতে পানি ছেটাচ্ছেন। বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।