বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এস এম মাহমুদ সেতু নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। আবরার হত্যায় সেতুসহ এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, আবরার হত্যা মামলায় নাম সেতুর নেই। তবে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়া অন্য আসামিদের বক্তব্যে সেতুর নাম উঠেছে। সে কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, রাজধানীর বাংলামোটর থেকে রোববার বিকেল ৫টার দিকে মাহমুদ সেতুকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, আবরার হত্যা মামলার এজাহারে মাহমুদ সেতুর নাম উল্লেখ না থাকলেও কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় ইতোপূর্বে গ্রেফতারদের জবানবন্দি ও বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণে আবরার হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মাহমুদ সেতু জানান, তিনি বুয়েটের ১৪তম ব্যাচের ছাত্র। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে চলতি বছরের এপ্রিলের বিএসসি সম্পন্ন করেন তিনি। বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১২ রুমে অবস্থান করে মানিকগঞ্জের একটি ওষুধ কোম্পানিতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আসা-যাওয়া করতেন সেতু।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
ইনিউজ৭১/জিয়া
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।