কক্সবাজারের উখিয়ায় স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ইলেক্ট্রনিক্স সিগারেট ভেঁপে আসক্ত হয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। রাস্তার মোড়ে কিংবা নির্জন এলাকায় সমবয়সী বন্ধুদের আড্ডায় পড়ে উঠতি বয়সী কিশোর-তরুনেরা ইলেক্ট্রনিক সিগারেট সেবন করছে। এতে উদ্ভিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। একটু সুযোগ পেলেই অশালীন অঙ্গভঙ্গি, কটুক্তিসহ অনেক ক্ষেত্রে পথরোধ করে অশালীন প্রস্তাব দিচ্ছে তারা। খোদ উখিয়াতেই এমন চিত্র বেশি চোখে পড়ছে। এসব উঠতি বয়সী বখাটে শিক্ষার্থীর তালিকায় প্রবাসী ধনীর দুলাল থেকে শুরু করে রয়েছে ব্যবসায়ীর সন্তানরা। তাদের কাছে যেন অনেক মা-ই জিম্মি হয়ে পড়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসীর স্তী জানান, আমার ছেলে আবুল কাশেম নুর জাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। একই স্কুলের তার সহপাটি বন্ধুদের সাথে মিশে ছেলেটি নষ্ট হতে বসেছে। তাই আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে আমার ছেলেসহ ঐ সব ছেলে বন্ধুদের বিরুদ্ধে নালিশ দিয়েছি। যারা ইলেক্ট্রনিক সিগারেটে আসক্ত।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে প্রধান শিক্ষক আলমগীর জানান, যে ছেলেটির মা নালিশ দিয়ে গেছেন, সে ছেলেটি ভদ্র। কিন্তু সে যাদের সাথে মিশে তারা অভদ্র এবং তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের একাধিক অভিযোগ এসেছে। আমরা তাদেরকে অন্যায় পথ থেকে ফেরাতে অভিভাবকসহ শিক্ষকরা সচেষ্ট রয়েছি। একজন অভিভাবককে ড়েকে জানিয়ে দিয়েছি এ রকম চলতে থাকলে স্কুল থেকে বহিস্কার করা হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অনৈতিক কাজ থেকে ফিরে আনতে আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব রয়েছে। দুজন ছাত্র বাইকে করে অন্য বন্ধুদের নিয়ে কোটবাজারে আড্ডা জমাতে যায়। শিক্ষক ও অভিভাবকরা সতর্কতার সাথে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। উঠতি বয়সী ছেলের মায়েরা মুখ বুজে সহ্য করেই এতদিন ছিল। বাড়িতে ছেলের আচরণে অতিষ্ট হয়ে বিদ্যালয়ে শরণাপন্ন হয়েছেন। উখিয়ার অধিকাংশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের এহেন আচরণে চিন্তিত বলে জানিয়েছেন একাধিক অভিভাবক মায়েরা।
এ প্রসঙ্গে সামাজিক সেচ্ছাসেবি সংগঠনের নেতা নুরুল আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে এনজিওতে কর্মরত নারী-পরুষের অবাধ মেলামেশা কোমলমতি কিশোর ও তরুণদের মাঝে প্রভাব ফেলেছে। তাছাড়া ইয়াবার দুর্নাম রয়েছে আমাদের উখিয়া-টেকনাফে। আজকে যারা সিগারেটে আসক্ত হচ্ছে তারা কাল ইয়াবা আসক্ত হবে। তাই সময় থাকতে আমাদের সন্তানদের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল এবং ছেলে মেয়েদের সময় দিতে হবে। চারপাশে শুধুই সামাজিক অস্থিরতা। একদিকে ইয়াবার আগ্রাসন অন্যদিকে এনজিওদের অপ্রতিরোধ্য খোলামেলা বেপরোয়া চালচলন উখিয়ার পরিবেশকে কলুষিত করে ফেলেছে। উখিয়ার সুশীল সমাজ মনে করছেন, ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে উখিয়ার কিশোর-তরুনেরা। তাদের হাতে সিগারেট- ইয়াবাসহ অতিরিক্ত টাকায় কাল হয়ে দাড়াতে পারে। কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরির সুবাদে অতিরিক্ত টাকা হাতে পাচ্ছে। তাছাড়া কর্মস্থলে নারীদের সান্নিধ্য পাওয়ায় তারা অনৈতিকতায় লিপ্ত হচ্ছে। অনেক তরুণ এখন ইয়াবা বিক্রি ও সেবনে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
শ.ম.
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।