কয়েক বছর আগে ঈদ আসলে প্রতারকদের জাল টাকা আর মলম লাগতে বেস্ত থাকতে হতো। কিন্তু এখন দিন বদলে গেছে। ঘরে বসে আরামছে ১০ জনরে কল করলে ২ জন থেকে কৌশলে নিয়ে নেওয়া যায় তার সম্বলটুকু। খুব কৌশলে অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে আপনার থেকে ঠাণ্ডা মাথায় ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে বা যাবে এমনকি আপনি নিজে দিয়ে দিবেন আপনার সম্বলটুকু।
হা!... যা বলছিলাম আর কি। এটা হচ্ছে এখনকার বিকাশ প্রতারণা বা মোবাইল ব্যাংকিং এর নামে ফোন করে প্রতারণার কথা। খুব সহজে এরা লুটে-পুটে আপনার সর্বস্বটুক নিয়ে যাচ্ছে, যদি একটু সতর্ক না হোন। বিকাশ প্রতারণা থেকে রেহাই মিলছেনা কারো, তবে বেশি হচ্ছে গ্রামে। নারী গ্রাহকদের বা একটু বয়স্কদের টার্গেট করে থাকে এরা বেশি। আপনি যখনি কোন বিকাশ বা অন্য মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা ভরে নিবেন ঠিক তার কিছু খনের মধ্যে প্রতারকরা কল দিবে এবং নানা ছলে বলে আপানাকে বুঝাবে। যদি আপনি সতর্ক হয়ে না থাকেন তাহলে আপনার টাকা তো নিবে, সাথে ঘরে থাকা টাকা ও তাঁদের আপনি পাঠিয়ে দিবেন তাঁদের পরামর্শ মতো।
দেশের শত কোটি টাকা খরচ করে বায়োমেট্রিক সিম ভেরিফাই করা হয়েছে কিন্তু এই প্রতারকদের কেউ সনাক্ত করতে পারছে না। যারা প্রতারিত হচ্ছেন তাঁরা সবাই বলেন এটা সরাসরি বিকাশ এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসা যারা করেন তাঁরা করেন। কিছু দিন আগে ফরিদপুর এর ভাঙ্গা উপজেলাতে কিছু প্রতারক ধরা পরেছিল তাঁরা স্বীকার করেছেন যে তাঁরা ফোন নাম্বার গুলো এজেন্ট থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। সুতরাং, যদি আপনি এই প্রতারকদের থেকে বাঁচতে চান তাহলে কোন রকম বিকাশ বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এর তথ্য কারো কাছে শেয়ার করবেন না জানবেনও না। নিজে ভালো থাকুন অন্য কে এই কথা গুলো শেয়ার করে সতর্ক করুন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।