সরাইল উপজেলায় প্রচণ্ড শীতের কারণে বৃদ্ধাও শিশুরা অসহায়, গরম কাপড়ের অভাবে হতদরিদ্র মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে। ঠাণ্ডায় কাপ উইঠ্যি তেছে টাকা- পয়সা ও পাইন না তাই বাড়িতে চইলা যামু’ আক্ষেপ করে প্রচণ্ড শীতের বর্ণনা দিচ্ছিলেন সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড্ডা গ্রামের মতি মিয়া (৭৫) নামে এক বৃদ্ধা। তার কথাতেই অনুমান করা যাচ্ছে সরাইলে ঠাণ্ডার প্রকোপ কতোটা। গরিবের জন্য চেয়ারম্যান মেম্বারে কম্বল বলে দিব! আমিও তো একজন গরীব, আমি একটা কম্বল পেলাম না, রাস্তায় বসে থাকি। আমারে একটা কম্বল দিবো কেডা!
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঘড়ির কাঁটায় যখন সকাল ১১টা পেরিয়ে গেছে, সারাদিনের অর্ধেকটা পেরুলে সূর্যের দেখা নেই। বেলা যতই গড়াচ্ছে, বাতাস আর শীতের মাত্রা যেন ততই বাড়চ্ছে।সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে চলায় প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোচ্ছেন না কেউ। জীবিকার তাগিদে কেউ কেউ কানে মাফলার ও গরম কাপড় শরীরের পেঁচিয়ে বেরোচ্ছেন।মানুষের পাশাপাশি প্রাণীকুলেও শীতের প্রভাব পড়েছে। সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে-খাওয়া মানুষেরা। শীতার্ত অসহায় মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে গায়ে লুঙ্গি বা লম্বা কাপড়ের তেনা জড়িয়ে শীত তাড়ানোর চেষ্টা করছেন। শীতের প্রকোপ আর ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবীরা।
এছাড়া হাসপাতালগুলোতে ক্রমেই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন সড়কে যানবাহনে যাত্রী উপস্থিতি একেবারেই কম।সরাইল সদরএলাকার মোসলেম মিয়া (৮৫) ই নিউজ ৭১ বলেন, শীতের মধ্যে অনেক কষ্ট হয়। ঠাণ্ডায় বয়স্ক আমি কোন কাজ করতে গেলে কোন কাজ করতে পারিনা। অফিস থেকে অনেককে কম্বল দিয়েছে। একটা কম্বলেও পেলাম না। আমাকে কি কেউ একটা কম্বল দিব।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।