আজ দায়িত্ব নিচ্ছেন ডাকসু ভিপি নুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাখাওয়াত জামিল সৈকত (অতিথি লেখক)
প্রকাশিত: শনিবার ২৩শে মার্চ ২০১৯ ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
আজ দায়িত্ব নিচ্ছেন ডাকসু ভিপি নুর

২৮ বছর পর আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের ‘দ্বিতীয় পার্লামেন্ট’খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যকরী সভা। ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নূরুল হক নূর এ সভায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে দায়িত্ব নিলেও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ডাকসুর প্রথম কার্যকরী সভা ডাকসু ভবনে নয়, বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত হবে। ১৮টি হল সংসদের কার্যকরী সভা আজ নিজ নিজ হলে অনুষ্ঠিত হবে।

এতে ২৫টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয় পায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ। ১৮টি হলের ১২টিতেই ভিপি-জিএসসহ অধিকাংশ পদে জয় পায় তারা। বাকি ৬টিতে স্বতন্ত্র পদে ভিপি-জিএসসহ কিছু পদে জয় পায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ছাত্রলীগ ছাড়া কারচুপি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জন করেন ভিপি নূরুল হক নূরের সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ প্রায় সব প্যানেল। তবে এরপরও দায়িত্ব গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নূরুল হক নূর ও সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের এক সভায় বৃহস্পতিবার রাতে এ সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নূর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর ভিপি নূর বলেন, শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে ডাকসুর কার্যকরী সভায় আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করব। পুনর্নির্বাচনের দাবিসহ শিক্ষার্থীদের অন্য যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সমাধান করতে আমাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম চলবে। পুনর্নির্বাচনের চাওয়া আমাদের বরাবরের মতোই রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম এবং ডাকসু নির্বাচনের অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও বেগবান করার জন্য আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব অঙ্গসংগঠন বা কথা বলার জায়গা রয়েছে, সেসব জায়গায় অনিয়ম নিয়ে কথা বলতেই আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি।

দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দাবি করে নূরুল হক বলেন, দীর্ঘদিন ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে মেধাভিত্তিক সুস্থধারার ছাত্র রাজনীতির পরিবর্তে অর্থ ও পেশিশক্তিনির্ভর অপরাজনীতির বিকাশ ঘটেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ছাত্রী হল আর বিজয় একাত্তর হল ছাড়া অন্য হলগুলো প্রশাসন যেন ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের কাছে ইজারা দিয়েছে। যে মেধা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে, সেই মেধা ও অর্থনৈতিক অবস্থা দেখেই হলে তাদের আসন নিশ্চিত করতে হবে। কোনো শিক্ষার্থীকে জোর করে মিছিল-মিটিং করানো যাবে না এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে হলে সিট দেয়া যাবে না।

ইনিউজ ৭১/এম.আর